প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে একজন অভিভাবকের ভূমিকা

সুমন মজুমদার | শনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আমরা সবাই ওয়াকিবহাল যে একজন শিশু পাঁচ বছর অতিক্রম করলেই সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে, একসময় সে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এবং নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে হয়, যা তার পক্ষে অনেকটা দুরূহ ব্যাপার কেননা প্রথম পাঁচ বছর সে তার মা-বাবার আদর স্নেহ ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে উঠে। কোমলমতি শিশুরা হল নরম মাটির মত, নরম মাটিকে যেমন বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় ও সুনিপুণ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় ঠিক তেমনি বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিশুদেরকেও স্নেহ, আদর, ভালোবাসা দিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের মাধ্যমে সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব, এক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের ভুমিকা যেমন অপরিসীম, ঠিক তেমনি একজন অভিভাবকেরও ভূমিকা রয়েছে। একজন শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেই অভিভাবকদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রমে সে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করছে কিনা তা অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিত। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও অনেকে ক্লাসে অংশ গ্রহণ করেনি বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা, করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ায় সরকার ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় আবারও শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, এ অবস্থায় অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে আন্তঃ যোগাযোগ যত সুদৃঢ় হবে, ততই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষার উন্নয়ন ভালো হবে, সে নিজেকে নিজে অনুধাবন করতে শিখবে, নিজের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পাবে সর্বোপরি একজন স্বশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে। যারা শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী কিংবা আরও উচ্চপদে পদস্থ হয়েছে সবকিছুর পেছনে ছিল একজন অভিভাবকের অণুপ্রেরণা ও সচেতনতা। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের প্রত্যেক অভিভাবক যদি সচেতন হন, তাহলে তাদের সন্তানদের দীর্ঘদিনের শিক্ষার ঘাটতি অনেকাংশে কমে যাবে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মান পূর্বের জায়গায় ফিরে আসার সম্ভাবণা আছে মন্তব্য করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাই প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রত্যেক অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমসজিদে ছবিযুক্ত ব্যানার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চাই
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্য যেন এখন পাগলা ঘোড়া