দ্রব্যমূল্য যেন এখন পাগলা ঘোড়া

মুহাম্মদ বাবুল হক বাবর | শনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

দ্রব্যমূল্য যেন এখন পাগলা ঘোড়া। ছুটছে তো ছুটছেই। নানা অজুহাতে একের পর এক নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে। পরে দাম কমানোর অবস্থা হলেও আর কমে না। লাগামহীনভাবে পণ্য মূল্য বাড়ায় দিন দিন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষেরা। এমনিতেই করোনাকালের এই সময়ে মানুষের আয় রোজগার তেমন নেই বললেই চলে।তার উপর নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় জনগনের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। চালের দাম কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। করোনার শুরুতেই ব্যবসায়ীরা লকডাউনে পণ্য পরিবহন জনিত সমস্যার কারণে দাম বাড়ার কথা বলেছিলেন। বর্তমানে পণ্যের সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক। আমদানিও বন্ধ নেই। এটা সত্য যে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু আমদানি নির্ভর ভোজ্যতেল, পেয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, গরম মসলার মূল্য বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা তা সুকৌশলে এড়িয়ে যান। জানা যায়, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় পণ্য গুদামজাতের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেয় যার কারণে সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। এছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশের গণমাধ্যম সমূহে বাজারে চালের কোন ঘাটতি নেই জানালেও চালের বাজার কেন উত্তপ্ত, তার পেছনে কোন দূরভিসন্ধি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার। নগরীর প্রত্যেকটি বাজারে সার্বক্ষণিক স্থায়ী মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে অতিরিক্ত মুনাফালিপ্সু অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে একজন অভিভাবকের ভূমিকা
পরবর্তী নিবন্ধআশাকে প্রত্যাশায় রূপান্তর করা ভুল