প্রাণহানির আশংকা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন

| শনিবার , ৩ জুলাই, ২০২১ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

জনগণের সরকার জনগণের ভাল মন্দ দেখবে। দেখাই সরকারের দায়িত্ব। অবহেলায় প্রাণহানিসহ অনেক অঘটন ঘটে যায়। আমি ডাক্তার খাস্তগীর স্কুলের পিছনের এক বাসিন্দা। স্কুলের সীমানার অনেক গাছ আমাদের বাড়ির বারান্দায় আর জানালা ঘেঁষে আছে। সবসময় গাছের পাতা ও ঢাল ঝরে পড়ে। এ অবস্থায় বিষয়টি আমরা গত বছর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে অবহিত করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি অবজ্ঞা ভরে আমাদের বলেন, ‘ফাণ্ড নেই, আপনারা কেটে নেন’। আমরা চেপে যাই। আবার যখন গাছের পাতায় ঘরময় ছেয়ে যায় এবং অন্ধকার হয়ে আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলাম, তখন আবার গেলাম তাঁর কাছে। তিনি আবারো ফিরিয়ে দিলেন। বাধ্য হয়ে আমরা কাঠুরে ঢাকলাম। কাঠুরে আমাদের জানালেন যে এত বড় গাছের ডাল কাটতে ১০/১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা তাও জানালাম প্রধান শিক্ষিকাকে। গত ৩০শে জুন ঝড়ো হাওয়ায় মাঝ রাতে একটা বড় নারিকেল গাছ উপড়ে আমার জানালা ঘেঁষে ছাদের ওয়াল ভেঙে পড়েছে। আমরা ভূমিকম্প বলে সকলে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি লকডাউন ভেঙে বিষয়টা তাঁকে জানালাম। তিনি সরাসরি বলে দিলেন ‘আপনারা সাফ করে নেন’। এখন আমার প্রশ্ন প্রাণহানি হলে কি এ দায় ভার কি তিনি নিতেন? প্রধান শিক্ষিকা কে বলছি আপনি মানুষ গড়ার কারিগর, মানুষ মারার নয়। আপনি কি আমাদের এ দুর্গতির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন না? স্কুলের সব নারিকেল, কাঁঠাল, আম বিক্রির টাকা কি ফাণ্ডে জমা হয় না?
সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, আমরা যেন সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা পাই।
রেবেকা নাছরীন
পরিচালক, চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্রান্‌ৎস্‌ কাফকা : নিঃসঙ্গতার শিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধসচেতনতাই করোনা থেকে বাঁচার উপায়