প্রসঙ্গ চাক্তাই খাল

আলী আকবর বাবুল | বুধবার , ১৬ মার্চ, ২০২২ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

সোনালী সম্ভার হলো চট্টগ্রাম। ব্রিটিশ আমল থেকে এই চট্টগ্রামের সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লো দেশ থেকে দেশান্তরে। বিদেশি বেনেদি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে ছুটে আসত চট্টগ্রামে। বঙ্গোপসাগর থেকে কর্ণফুলী নদী এই নদীর উত্তর দিকে বয়ে গেছে চাক্তাই খাল। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ার পেছনে গৌরবময় অংশীদার হচ্ছে চাক্তাই খাল। চাক্তাই খালের দুই পাশ ঘিরে গড়ে উঠলো ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র- চাক্তাই- খাতুনগঞ্জ আসাদগঞ্জ। চাক্তাই খাল কে ঘিরে বিশাল বসতি রূপে গড়ে উঠলো বাণিজ্যিকভাবে। চাক্তাই খাল হচ্ছে অত্র এলাকার জন্য সোনা ডিম পাড়া হাঁস, এই খাল কে আমরা নির্মমভাবে হত্যা করছি দিনদিন। দুনিয়াার যত বর্জ্য আছে সব এখানে ফেলে ভরাট হয়ে পরিবেশ দূষণ ও ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ আর ভূমিদস্যুরা যে যেভাবে পারছে দখল করছে। পরিশেষে পূর্ণ যৌবনা চাক্তাই খাল হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য, বর্ষা আসলেই এই এলাকার ব্যবসায়ী মানুষগুলো নরকীয় জীবন যাপন করতে হয়। নষ্ট হতে থাকে গুদামে রক্ষিত কোটি কোটি টাকার মালামাল। বর্ষা শেষ হওয়ার পরপরই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, মূল্য বৃদ্ধিতে। এই চাক্তাই খালের ক্ষতি আমরা মানুষরূপী অমানুষ গুলো করে এসেছি। আজ উন্নয়নের এই সরকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে চাক্তাই খাল ফিরে পেতে যাচ্ছে, তার পূর্ণ যৌবনা, দ্রুতগতিতে চাক্তাই খালের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছরের আগে এই চাক্তাই খাল আধুনিকীকরণ হয়ে যাবে। চট্টগ্রামবাসী মুক্ত হবে জলাবদ্ধতা থেকে। জাপানিরা বলতো হোয়াংহো নদী হচ্ছে তাদের দুঃখ আর চট্টগ্রামবাসীরা বলতাম চাক্তাই খাল হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীর দুঃখ। শেখ হাসিনা কাছে চট্টগ্রাম বাসীর প্রাণের দাবী ছিল চাক্তাই খাল কে পুনরায় উদ্ধার, খাল খনন এবং জলাবদ্ধতা নিরসন। ইনশাল্লাহ, আগামী বছর চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি, পরিপূর্ণ করতে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই মাননীয় জননেত্রীকে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅহংকার থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেদের
পরবর্তী নিবন্ধঋষি মেধসের আশ্রম