প্রসঙ্গ: চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা

প্রদীপ ভট্টাচার্য্য | রবিবার , ৭ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বর্ষার মৌসুমে সামান্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়ে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও দোকানপাটসহ নানা উঁচু নিচু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আরো প্রধান কারণগুলো হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ির বালি-মাটি, বাসা-বাড়ির আবর্জনা, গৃহস্থলীর বর্জ্য, পাহাড় ধোয়া মাটি, প্লাস্টিক দ্রব্য, অপচনশীল পলিথিন সামগ্রীসহ নানা রকমের বস্তুগুলো নালা-নর্দমায় ফেলার কারণে ভরাট হয়ে কিংবা নাব্যতা হারিয়ে নালার ছিদ্রপথ বন্ধ হয়ে রাস্তার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। কিন্তু নির্ধারিত ডাস্টবিন ব্যতিত যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলা আইন বিরোধী হলেও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের উদাসীনতাই দায়ী। এছাড়া, সময়মতো নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ড্রেইনগুলো পরিচ্ছন্ন না করার কারণে অল্প বৃষ্টিতে ড্রেইনের পানি ফুলে ফেঁপে নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে চলমান মেগা প্রকল্প, ছোট-বড় নালা-নর্দমা ও খালে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে বাঁধ নির্মাণ, মাটির স্তূপ, লোহার পাটানল, কাজের বালি, লোহার রড ও ইট পাথর যেখানে সেখানে পড়ে থাকাতে খাল নালা-নর্দমার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অবিলম্বে বর্ষার মৌসুমে সাময়িক কাজ বন্ধ রেখে স্বাভাবিক পানি চলাচলের পথগুলোতে প্রতিবন্ধকতা দূর করে ত্বরিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, অল্প বা ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সচেতনতা জরুরি
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে