প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বললেন জাহানারা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২১ জুন, ২০২১ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছেন বৃদ্ধা জাহানারা বেগম (৬০)। এরপর থেকে পরিবার নিয়ে ভাড়া ঘরে থাকতেন তিনি। দরিদ্র জাহানারা ঠিকসময়ে ভাড়া দিতে না পারায় কত কথাই না শুনেছেন। কিন্তু সেই জাহানারাই কিনা পেলেন জমির দলিল ও ঘরের কাগজ! গতকাল জাহানারাসহ রাঙ্গুনিয়ার ৫০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী নতুন ঘর উপহার দিয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথাও বলেন জাহানারা বেগম। তাই উচ্ছ্বাস যেন কমছে না তার। জাহানারা বেগমের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে একমাত্র রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সরাসরি যুক্ত হয়ে নতুন ঘরগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি। এ সময় তাঁকে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এক উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কথা বলেন জাহানারা বেগম।
রাঙ্গুনিয়ার বহলপুর গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্রে ঘর পেয়েছে ৩০টি ভূমি ও গৃহহীন দরিদ্র পরিবার। তাদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠান শেষ হলে নতুন কাপড় পরে ১৬ নম্বর ঘরের সামনে বসে ছিলেন জোসনা আকতার (৫৮)। তিনি বলেন, তার স্বামী ফজল করিম ২৫ বছর আগে দুরারোগ্য রোগে মারা যান। স্বামীর কোনো ভিটেবাড়ি ছিল না। ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে থাকতে হতো অন্যের আশ্রয়ে। দুই মেয়ে নিয়ে টানাপোড়নের সংসারে জায়গা নিয়ে ঘর করবেন এমন সামর্থ্যও নেই বিধবা জোসনা আকতারের। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতে হতো তাকে। তবে এবার নতুন পাকা ঘর পেয়ে দুঃখ ঘুচেছে তার। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতি পাড়ের মনজিল খাতুনের ঘরটা এমনিতেই নড়বড়ে ছিল। ঝড়-তুফানের সময় ভয়ে থাকতেন। এরমধ্যে একদিন ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের একটি খুঁটি ভেঙে পড়ে বসতঘর ভেঙে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান বসতঘরের বাসিন্দারা। চোখের সামনে যখন প্রবল অন্ধকার, তখন আলো হয়ে পাশে দাঁড়ান স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কয়েক মাসের মধ্যে বহলপুর গ্রামে আধাপাকা নতুন ঘর পেয়ে অনেক খুশি তিনি। আরেক উপকারভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে গিয়েছে। এরপর একজায়গায় আশ্রয়ে ছিলাম। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসলাম চৌধুরীর জামিন স্থগিতই থাকছে
পরবর্তী নিবন্ধমেগা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল আরও এক বছর