প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা যথাযথ সিদ্ধান্ত হতে পারে না

ইসরাত জাহান | বুধবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের মাথার উপর থেকে কিছুটা দুশ্চিন্তার বোঝা দূরীভূত হয়৷ আবারও স্বপ্নের পথে পাড়ি জমায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে স্বপ্ন অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে ভেবে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় অনেক সময় নির্ঘুম রাত কাটিয়ে হতাশার সাগরে ডুব দিয়েছিল, সেসব ভয়, দুশ্চিন্তা, হতাশা যে নিমিষেই কোথায় চলে যায়৷ মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে আবারও পা বাড়ায় নিজের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে।

গত বারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ১৪ দিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা আর মাত্র তিনটি বাকি, ২৯ জানুয়ারি থেকে অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা এবং ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে অনার্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজটের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা কখনোই যথাযথ সিদ্ধান্ত হতে পারে না। একটা দেশের মেরুদণ্ড এই শিক্ষার্থী। এদের জীবন অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার অধিকার কারো নেই। তাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুলে দেওয়া জরুরি।

লেখক: শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধটোকাইদের ঘৃণা নয়, ভালোবাসতে শিখুন
পরবর্তী নিবন্ধযে উৎসব মনে থাকবে অনেক দিন