প্রতিবন্ধকতা পুরনো পাইপ লাইনে

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ।। ক্ষমতা ১৪ কোটির বেশি, উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি লিটার

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২০ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ওয়াসার রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১৪ দশমিক ৩ কোটি লিটার। পুরনো পাইপ লাইনের কারণে পুরোদমে পানি উৎপাদন করে সরবরাহ করা যাচ্ছেনা। তাই ধাপে ধাপে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে।
গত ১৬ মার্চ প্রথমবারের মতো রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্পের উৎপাদিত পানি নগরীতে গ্রাহকদের সরবরাহ শুরু করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। প্রথম পর্যায়ে উৎপাদিত পানি সরাসরি হালিশহর বি ব্লকের রিজার্ভারে নিয়ে সেখান থেকে আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে পতেঙ্গাসহ নগরীর অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী। এই ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম আজাদীকে জানান, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ১৪ দশমিক তিন কোটি লিটার পানি উৎপাদন করা যাবে। এখন আমরা মাত্র ৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছি। পুরনো পাইপ লাইনের কারণে পুরোদমে উৎপাদন করা যাচ্ছেনা। নগরীর বেশির ভাগ এলাকায় পুরনো পাইপ। এই কারণে প্রেসার কমিয়ে রেখেছি। বেশি প্রেসার দিলেই পাইপ ফেটে যাচ্ছে। তাই পাইপ লাইনে পানি দিয়ে লাইন টেস্ট করে দেখছি নেটওয়ার্ক ঠিক আছে কিনা। হালিশহর-পতেঙ্গা এলাকার পুরোটাই পুরনো পাইপ লাইন। এই কারণে আস্তে আস্তে পানির পেসার বাড়ানো হচ্ছে। এখন শুধুমাত্র হালিশহর এলাকায় পানি সরবরাহ করছি। এরপর প্রেসার বাড়িয়ে পতেঙ্গা এলাকায়ও সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় পানি দেবো।
নগরীতে ওয়াসার পানির দৈনিক চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসা এতদিন সরবরাহ করত ৩৬ কোটি লিটার। এখন শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প থেকে দৈনিক ১৪ দশমিক তিন কোটি লিটার পানি যুক্ত হলে ৫০ কোটি লিটার পার হয়ে যাবে। এর ফলে নগরীতে আর পানির সংকট থাকবেনা। নগরবাসী দিনে-রাতে পাইপ লাইনে পানি পাবে। কিন্তু এখন প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে পুরনো বিদ্যমান পাইপ লাইন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপারেশন সার্চ লাইটের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬