প্রণয় কান্তির অপ্রকাশিত কবিতা

| শুক্রবার , ১২ মার্চ, ২০২১ at ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

পথহীন পথের নুড়ি–১

ঝড়কে চিনেছিলো স্বপ্ন প্রথম আলোর দিনে।
ফুলের ভাষা তখনো বোঝেনি সে।
একরাশ রঙই শুধু ভাসতো চোখে!
লাল নীল কতো কি! জানার কথা নয় তার কোনটি কিসের।
ভালো লাগতো কেবল সমুদয় আলো।
সকাল পেরিয়ে দুপুরে যখন কী যেনো বলেছিলো একদিন পথের ঘাসফুল,
নীল হয়েছিলো সে সবাক বেদনায়-মনে পড়ে।

দ্বিতীয় ঝড়ের দেখা হলো মনের চিলেকোঠায়, গোলাপের সাথে দেখা হয়নি বলে
ঠাঁই নিয়েছিলো রক্তজবায়!
হাড়িকাঠে যাবার আগে তাই ঝুলছে সে এখন আঁকশির মাছের মতোন ।
সৈকত আলোয় কুড়ায় দিনের নুড়িপাথর।

পথহীন পথের নুড়ি–২

কথা রাখেনি নদী। ঘর বেঁধেছিলো দিনের ঘুম
শিপ্রা নদীর পাড়ে। ভালোবেসে।
কথা রাখে না নদী। জানতো না অন্ধ কিউপিড।
ভেসে গেলো তাই ঘুমের বাড়ি। রাত্রিহীন সে
সেই থেকে। খুঁজে বেড়ায় কেবল স্বপ্নের ঘরখানি সবুজ
কোনো দ্বীপে। অপরূপ অশ্রুজলে।

মেঘকে আকাশ ভেবে ভুল করেছিলো সে শতবার,
তষ্ণাকে তবু চাই তার। নীল পাহাড়ের তারায়
তারায় গেয়ে ওঠে তাই বৃষ্টির গান দেখা যদি মেলে
মায়া হরিণীর অপরূপ অশ্রুজলে !

পথহীন পথের নুড়ি-৩

শ্বেতবামন সমাপ্তির আগে দেখা হয়ে গেলো নক্ষত্রের হঠাৎ
অশ্রুলীনার সাথে
থমকে দাঁড়িয়ে ধ্রুবতারা তাই এখন বেদনাকুটিরে
নক্ষত্রবাড়ি গিয়েছিলো স্বাতি কী যেনো এক আলোর খোঁজে
রঙ আর রেখার বাঁকে বাঁকে সকাতর প্রার্থনায় নক্ষত্রে
দিয়েছিলো বেদনাজল ঐকান্তিক শুশ্রূষায়
প্রজাপতি হয়ে উঠলো যখন বৃদ্ধ যাযাবর নিয়ে গেলো তারে
নীলিমার অন্তরালে
ধ্রুবতারা কি আদিত্যের ব্যথা কেউ বোঝে না এখন
নিকটেই রয়েছে কি তবে নক্ষত্রের শ্বেতবামন ?

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকজন ঋষিকেশ দাশের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসৈয়দ আবুল মকসুদ ও পদ্ধতিগত সততা