প্রণোদনা : ছোটদের ঋণের অর্ধেকও বিতরণ হয়নি

| বৃহস্পতিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

নানা পদক্ষেপ-তাগিদেও কাজ হয়নি। করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বড় উদ্যোক্তারা ঋণে ভাসলেও ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণ এখনও বাড়ানো যায়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামপ্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা বিতরণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিতরণ করা হয়েছে ৮ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। খবর বিডিনিউজের।
মহামারীর ক্ষতি সামলে উঠতে সরকার এখন পর্যন্ত সোয়া লাখ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তা থেকে বড় উদ্যোক্তারা তাদের বরাদ্দ ঋণ নিয়ে শেষ করে ফেলেছেন। বড় উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো উদার হলেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে চিত্র ভিন্ন। এজন্য ব্যাংকগুলোর অনীহাকে দায়ী করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পাবে ‘ছোট’রা
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সোয়া লাখ কোটি টাকার মোট ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ ৩৩ হাজার কোটি টাকার, শিল্প ও সেবা খাতের জন্য। ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ সিএমএসএমই জন্য। প্রণোদনার এই অর্থ ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এই দুই প্যাকেজের অর্থের অর্ধেক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জোগান দেওয়া হচ্ছে। দুই প্যাকেজেরই ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ। এর মধ্যে ৪ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। শিল্প ও সেবা খাতের প্যাকেজের ৩৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বড় উদ্যোক্তাদের বিতরণ করে ফেলেছে ব্যাংকগুলো। কিন্তু ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণ তেমন না হওয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বার বার তাগাদা দেওয়া হয়েছিল ব্যাংকগুলোকে, ঋণ বিতরণের সময়সীমাও বাড়ানো হয়।
কিন্তু তাতেও প্রত্যাশিত ফল মেলেনি বলে গত ৩ ডিসেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে আয়োজিত দ্বিতীয় সভায় অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার উপস্থাপিত প্রতিবেদনে দেখা যায়।
‘কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিএমএসএমই খাতের এই ঋণ বিতরণে মোটেই খুশি নয় অর্থ মন্ত্রণালয়। যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) তেমন ঋণ বিতরণ হয়নি। এমনকি, ছোট ঋণের ঝুঁকির দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক নেওয়ার পরও এ খাতের ঋণ বিতরণ বাড়েনি। এটা খুবই দুঃখজনক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজন্মহার বাড়াতে এআই!
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৩১.৪৫ কোটি টাকা