গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ না লাগালে সেটা উপলব্ধি করা যায় না। যেমন কুকুর বিড়াল বাড়িতে না রাখলে ওদের গুরুত্ব বা ওদের প্রতি টান বোঝা যায় না। গাছ যে আমাদের বাড়ির একজন সদস্যের মতোই, সেটা গাছ লাগালেই টের পাওয়া যায়। বেঁচে থাকার জন্য আমরা প্রতি মুহূর্তে অক্সিজেন গ্যাস গ্রহণ করছি, নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় ত্যাগ করছি কার্বন–ডাই–অক্সাইড গ্যাস। এক হেক্টর আয়াতনের ঘন অরণ্য বছরে প্রায় চার টন ওজনের কার্বন– ডাই–অক্সাইড গ্যাস শুষে নেয় ও প্রায় দু–টন বিশুদ্ধ অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে সরবরাহ করে। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে, জীবজগতে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কতখানি প্রয়োজনীয়। অঙিজেন গ্যাস না পেলে আমাদের হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে। আমাদের জীবন দেয় ওই গাছ, যারা না থাকলে এই পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকা সম্ভব হতো না।
একমাত্র, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে গাছ। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তৈরী হয়েছে বন সৃজন প্রকল্প। নির্বিচারে গাছ কাটা নয়, নির্বিচারে গাছ লাগিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রধান কাজ। গাছ না থাকলে বর্ষা হওয়াটা কঠিন।
বর্তমান পরিস্থিতি হলো গাছ কাটার ফলে বন শূন্য হয়ে যাচ্ছে। সুন্দর বন নামে একটি বন আছে তা আজ ধ্বংসের পথে। অতীতে পূর্ব পুরুষেরা আমাদের জন্য পুকুর, ডোবা, দিঘি, নদী বিভিন্ন রকম তৈরী করা জলাশয় উপহার দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা কী করছি?
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পাহাড় কেটে সমান্তরাল করে ফেলছি। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমল থেকে একই ইস্পাহানি ছিল, বর্তমান ইস্পাহানিতে এসে পুকুর ভরাট, গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি করে মানব জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিল। বড় বড় কলকারখানাগুলোতে একই অবস্থা। বর্তমান সরকার কী বলছে?
প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখতে দরকার কঠোর আইন ও নিজেদের সচেতনতা। যা দেশকে উন্নয়ন করে শক্তিশালী করবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে রক্ষা করতে হবে।