প্রকল্পের সাশ্রয়ী ২২৮ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে আরো ৩৫ মিটারগেজ কোচ

সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত

শুকলাল দাশ | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০ মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও ১৫০টি যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ’ প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়া ঋণের সাশ্রয় হয়েছে ২২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের সাশ্রয়ী টাকায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরো ৩৫টি আধুনিক উচ্চগতির মিটারগেজ কোচ ক্রয় করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল একনেক সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ফকির মো. মহিউদ্দীন আজাদী বলেন, আজকে (গতকাল বৃহস্পতিবার) একনেকে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেক্‌ট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি’ অনুমোদন হয়েছে। এর আগে ২০২১২০২২ সালে ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইঞ্জিন এবং ১৫০টি মিটারগেজ কোচ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২ দশমিক ২ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হয়েছে। যা প্রায় ২২৮ কোটি টাকার মতো। দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়া এই ঋণের সাশ্রয় হওয়া অর্থে আরও ৩৫টি কোচ কেনা হবে। আজকের একনেকে নতুন ৩৫টি মিটারগেজ কোচ কেনার সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। নতুন এই ৩৫টি কোচও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, পুরো প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ১ হাজার ৭৯৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি অর্থ ৩৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বাকি ১ হাজার ৪১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণ। মূল প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ব্যয়বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় তিন বছর বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, প্রকল্পের আওতায় ১৫০টি যাত্রীবাহী কোচের মধ্যে সবগুলোই দেশে চলে এসেছে এবং এসব কোচ দিয়ে দেশের বিভিন্ন রুটে নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের আগের পুরনো কোচ পরিবর্তন করে নতুন এই কোচ সংযোজন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আসা ২০টি লোকোমোটিভ বর্তমানে রেলওয়ের বিভিন্ন ট্রেনে ব্যবহার করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত নতুন আধুনিক উচ্চ গতির ট্রেন দিয়ে বর্তমানে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস চলাচল করছে। পাহাড়তলী কারখানায় আরো অনেক কোচ আছে। এগুলো আসন্ন ঈদ উল ফিতরে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচলরত আন্তঃনগর ও স্পেশাল ট্রেনগুলোতে সংযোজন করা হবে বলে পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে গত ১৮ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে রেল ভবনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ’ প্রকল্পের ওপর প্রজেক্ট স্টিংয়ারিং কমিটির ৫ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সেই সভায় প্রকল্পের সাশ্রয়ী টাকায় নতুন করে ৩৫টি মিটারগেজ কোচ কেনার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ হাজার টাকার এলইডি লাইট কেনা হলো ২৭ হাজার ৭০০ টাকায়
পরবর্তী নিবন্ধঈদ ঘিরে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর হিড়িক