পোশাক

সৈয়দা সেলিমা আক্তার | রবিবার , ৯ মে, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

স্কুলে পড়ার সময়। ইউনিফর্ম এর সাথে বড় ওড়না পরতাম। আমার সোনার বাংলা কোরাসে গাইতে উঠতাম মঞ্চে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড লেখালেখিতে থাকতে গিয়ে কখনো মনে হয়নি পোশাক মূল্যায়নের মাপকাঠি হতে পারে। শিক্ষক শিক্ষিকারা ভালোবাসতেন ও। ছড়ার জন্য পুরস্কারে মনোনীত হয়েএকটি সাহিত্য সংগঠন থেকে স্কুলের ঠিকানায় আমার নামে চিঠি আসে তাতে খুশি হয়ে গীতা দিদিমণি বলেছিলেন সৈয়দা সেলিমা বড় ওড়না পরে লেখালেখিতে পুরস্কারও পেলো। কলেজে ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে থেকেছি। পারিবারিক যে আবহ সে কারণে আমি পজিটিভ কিছুতেই বিশ্বাসী। আমি অহিংসা ও ইতিবাচকতা নিয়ে চলতে আর বলতে স্বাচ্ছন্দ। বিশিষ্ট লেখিকা দীপালী ভট্টাচার্যকে আমরা দেখেছি আজান দিলে ঘোমটা দেন মাথায়।প্রাণিত বোধ করেছি।অন্য ধর্মকে সম্মান করলে নিজে ছোট হয়না। আমার আশেপাশে যারা তারা আমার পোশাক বা চলাফেরাকে সম্মান করেছেন। এখনো আমি মনে করি পোশাক কোনো কিছুতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে না। এ রকম ভাবনা থেকে খুব সম্ভবত আমির খান মেরি পেয়ারি আম্মি সিক্রেট সুপার স্টার নামে একটি ফিল্ম বানিয়েছিলেন। কারো ভেতর কোনো প্রতিভা সুপ্ত থাকলে তাতে পোশাক বাধার কারণ হয়না। সেটা প্রকাশ পাবেই। এটা আমি বিশ্বাস করি অন্তর থেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. এন এন সেন ও আইনস্টাইন
পরবর্তী নিবন্ধসাদামনের মানুষ ছিলেন ডা. মাসুদ পারভেজ