পেছাতে পারে জেলা পরিষদ নির্বাচন

| রবিবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

আগামী জানুয়ারিতে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনটি না হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর শেষ হবে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এক্ষেত্রে জানুয়ারিতে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। কিন্তু জানুয়ারিতে না হলে ফেব্রুয়ারিতেও এ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচনে সময় গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শেষ না হলে জেলা পরিষদ নির্বাচন করা যাবে না। কেননা জেলার অধীনে যতগুলোর স্থানীয় সরকার রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করে থাকেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করেন।
বর্তমানে উপজেলার সব নির্বাচন শেষ হয়েছে। পৌরসভার ভোটও শেষের পথে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অর্ধেকও শেষ করতে পারেনি। প্রথম ধাপে ৩৬৯টি ইউপির ভোট সম্পন্ন করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬টি ইউপিতে ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভোট হবে এক হাজার সাতটি ইউপিতে।
কর্মকর্তারা বলছেন, জানুয়ারিতে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাইলে আরও প্রায় দুই হাজারের মতো ইউপিতে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ করতে হবে। এছাড়া রয়েছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনও। যার জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করা কঠিন। তাই সব নির্বাচন ডিসেম্বরে শেষ না হলে জানুয়ারিতে জেলা পরিষদ হবে না।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন শেষ না হলে জেলা পরিষদ নির্বাচন জানুয়ারিতে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মধ্যে সব নির্বাচন শেষ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকার জন্য স্কুল শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন যেভাবে
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের ফিল্ডিং দুর্দশার শেষ কোথায়?