পেকুয়ায় বোরকা পরে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, হতাহত ৩

পে | সোমবার , ৩ মে, ২০২১ at ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ

মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে আবারো গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পেকুয়ায়। এবার সন্ত্রাসীরা বোরকা পরে এসে প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ১ জনকে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জয়নাল আবেদীন (৪০)। তিনি মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়ার নুর নবীর পুত্র। নিহত জয়নাল মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিমের খাস লোক হিসেবে পরিচিত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই আনছার উদ্দিন ও মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম। এ ঘটনায় আরো ২ ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ রবিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলায়।
অপরাপর আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত রুস্তম আলীর পুত্র আলী আকবর (৪২) ও স্কুল ছাত্রী রিপা আক্তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে ফুলতলা স্টেশনে এসে একটি চায়ের দোকানে জয়নাল ও আলী আকবর চা খাচ্ছিলেন । এসময় ১০/১৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বোরকা পরিহিত অবস্থায় এসে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এসময় কিরিচ দিয়েও তাদের আঘাত করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
এসময় স্টেশনে থাকা লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
পরে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, এ বিষয়ে ঐ স্টেশনের ব্যবসায়ীরা কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েকদিন ধরেই জয়নাল গং ও স্থানীয় আবু ছৈয়দ ও এবং ছোটন গংদের মধ্যে কয়েক দফা মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে থানায় দু’টি এজাহারও জমা দিয়েছিল জয়নাল গং।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুজিবুর রহমান বলেন, “জয়নালের হাতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ও গুরুতর জখম রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেকে রেফার করেছি।” তাছাড়া বাকি দুইজন গুরুতর আহত বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পর থেকে রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও ঘটনাস্থলে ছিল পেকুয়া থানা পুলিশ।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলেই আছি। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের ১ জন মারা যাওয়ার তথ্য আমরা এখনও পাইনি।”
গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গোলাগুলির কোনো প্রমাণও আমরা এখনও পাইনি।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধনন্দীগ্রামে শেষ পর্যন্ত জিতলেন শুভেন্দু
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা