পুলিশের কবজি কাটা কবির গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২০ মে, ২০২২ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ায় পুলিশ কনস্টেলের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্নকারী সেই কবির আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব- ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কবির আহমদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তারা। পরে উভয় পক্ষের গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির আহমদকে তার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্বস্তু সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সহযোগীর নাম কফিল উদ্দিন। তিনি উপজেলার পদুয়া লালারখিল এলাকার মোস্তাক আহমদের পুত্র। জানা যায়, গত ২৪ মার্চ অনধিকার প্রবেশ ও মারামারির অভিযোগে পদুয়া লালারখিল এলাকার আবুল হোসেন কালু বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় একই এলাকার মৃত আলী হোসেনের পুত্র কবির আহমদকে (৩৫) আসামি করা হয়। রোববার (১৫ মে) সকালে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে এএসআই মজিবুর রহমান, কনস্টেবল মো. জনি খান ও কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন আসামি কবির আহমদকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আসামি কবির আহমদ গ্রেপ্তার এড়াতে ধারালো দা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে দায়ের কোপে কনস্টেবল মো. জনি খানের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া পুলিশের আরেক কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন ও মামলার বাদী আবুল হোসেন কালু আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কনস্টেবল জনি ও আবুল হোসেন কালুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। একইদিন আশংকাজনক অবস্থায় কনস্টেবল জনিকে হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর পরই আসামি কবির আহমদ পালিয়ে যায়।
এদিকে, একইদিন রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালে দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘণ্টার অপারেশনে আসামির দায়ের কোপে পুলিশ কনস্টেবল মো. জনি খানের বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কবজি জোড়া লাগানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, রোববার (১৫ মে) রাতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানার এএসআই মো. মফিজুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঘটনার মূলহোতা কবির আহমদ (৩০), তার স্ত্রী রুবি আক্তার (২৮) ও মা মোস্তফা বেগমকে (৫৫) আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১৬ মে) ভোররাতে পার্বত্য লামা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রী রুবি আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় কুপিয়ে হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন
পরবর্তী নিবন্ধবৃষ্টির আভাস, তাপদাহও কমে আসছে