মীরসরাইয়ে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় এক যুবককে কুপিয়ে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করেছে দেনাদার। আহত যুবকের নাম মোশাররফ হোসেন। তিনি করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছালেক কোম্পানির বড় ভাই মো. সফির পুত্র। দেনাদার মুরাদ সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রয়াত চেয়ারম্যান ছালেক কোম্পানির পুত্র মুরাদ পিতার ব্রিক ফিল্ড চালানোর নামে অনেক মানুষকে ইট দিবেন বলে অন্তত অর্ধশত মানুষের কাছে থেকে দশ- বিশ লাখ করে কয়েক কোটি টাকা নেন। কিন্তু গেল মৌসুমে কাউকে ইট বা টাকা কোনোটাই ফেরত না দেননি। গত বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট বাজারে মসজিদের সামনের মোড়ে পাওনাদাররা মুরাদের সাথে কথা বলতে চান। কিন্তু এ সময় মুরাদ ও তার ভাই উল্টো পাওনাদারদের গালমন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাওনাদার নিজের চাচাতো ভাই মোশাররফের ওপর হামলা করেন। এতে মোশাররফের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জামাল উদ্দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত মোশাররফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত মোশাররফ হোসেন জানান, ফরোয়ার্ড ইট কেনার জন্য চাচাতো ভাই মুরাদকে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাচাতো ভাই মুরাদ ইট কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত দিচ্ছিলেন না। বুধবার সন্ধ্যায় করেরহাট বাজারে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে মুরাদের ভাই রিয়াদ ধারালো বটি দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে তার হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া খুবই
দুঃখজনক। এ বিষয়ে জানতে মুরাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।