পুরুষ এবং নারী একে অপরের পরিপূরক

খালেদা লিপি | শনিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

নারীরা নিজেকে পরগাছা ভাবে? শতভাগ সংসারী নারী নিজেকে পরগাছা ভাবা স্বাভাবিক? বাচ্চা উৎপাদন, লালন-পালন, সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার পরও নিজেকে কেন পরগাছা ভাবা লাগে? নারীরা দয়ার বাঁচে? স্বামীনির্ভর জীবন নারীর। খাদ্য, বস্ত্র মোদ্দা কথা মৌলিক প্রয়োজনগুলোর জন্য নারীদের স্বামীর উপর নির্ভর করতে হয়।
সংসারে সারাটা জীবন ব্যয় করে নারীদের শুনতে হয় যে তারা বসে বসে খায়। একটা গল্প জানি, সারা শরীর বিদ্রোহ ঘোষণা দিলো যে, পেট শুধু খায়। তাই পেটকে খাবার দেয়া হবে না। পেটও মেনে নিলো। দুই দিন পেট খাবার খেলো না। তারপর কি হলো? মাথা ঘোরে, হাত- পা কাঁপে, শরীর দুর্বল। তারপর শরীরের অঙ্গগুলো বুঝলো যে পেট শুধু খায় না। নারীর জীবনও তেমন, নারী কেবল বসে বসে খায় না। নারীরও জীবনের মূল্য আছে। সারাটা জীবন তারা সংসারে ব্যয় করে।নারী- পুরুষ উভয়েই পরিশ্রম করে, ত্যাগ স্বীকার করে, মায়া ও ভালবাসার বন্ধনে জড়িয়ে সংসার সন্তান পালন করে। সুখে দুঃখে জীবন পার করে। উভয়ই বড়, উভয়েরই অবদান থাকে, কেউ বড় নয় ছোট নয়, প্রভূ-প্রতিভূ নয় বরং সম-অধিকারে সমানে সমান। তাদের অবদান অস্বীকার করে, অপমান করে, হেয় করে পুরুষ নিজেদের শারীরিক শক্তি আর মানসিকতার হীনতা প্রকাশ করে। এটা বন্ধ হোক। নারী জীবন মূল্যায়িত হোক। পৃথিবী গড়তে নারীর যে ফিফটি পার্সেন্ট অবদান তা পুরুষ সহজ ভাবে বুঝুক। আরো বুঝুক পৃথিবীতে পুরুষ এবং নারী একে অপরের পরিপূরক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসময়- প্রেম
পরবর্তী নিবন্ধআত্মসমালোচনা মন্দ হতে বিরত রাখে