আত্মসমালোচনা মন্দ হতে বিরত রাখে

মোহাম্মদ ওয়াহিদ মিরাজ | শনিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

আত্মসমালোচনা করা হলো নিজ চরিত্রের ভালো আর মন্দ কাজের ফলাফল নিয়ে প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে পরামর্শ করা। আমাদের উচিত অবসর সময়ে নিরিবিলি পরিবেশে বিচারকের আসনে বসে নিজের ভালো আর মন্দ কাজগুলোকে নিজের সম্মুখে উপস্থাপন করা। অতঃপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নিজের মন্দ কাজের জবাবদিহীতা আর ভালো কাজের জন্য নিজেকে ধন্য মনে করা। এভাবে নিজের দোষত্রুটিলো নিজের মনের আয়নায় দেখার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করতে পারলেই নিজের জীবনের ইহকাল ও পরকালের ভয়াবহ শাস্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। কারণ বিজ্ঞজনদের মতানুযায়ী এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বিচারক হলো নিজের মন। সমাজের দুষ্টু প্রকৃতির মানুষের মনও নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে কখনো স্বীকৃতি দেয় না, ফলে এরা সর্বদা ভালো মানুষের আতঙ্কে থাকে। কাজেই এরা ভালো মানুষের অনুপস্থিতিতে সমালোচনা করলেও সম্মুখে পেলে অভিনয়ের ছলে হলেও এদের সম্মানের ঘাটতি থাকে না। সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা বা বজায় রাখার স্বার্থে এমন দুষ্টু প্রকৃতির মন্দ লোকদের দমন করার জন্য আমাদের সকলকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। পরনিন্দা বা অপরের সমালোচনা করা বর্তমান সমাজে কিছু মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এমন ঘৃণিত কর্ম হতে পুরোপুরি বিরত থাকার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের সংখ্যা বর্তমানে তেমন চোখে পড়ে না। সম্মুখে বাহ্বা দিতে দিতে গলার পানি শুকিয়ে ফেলা কিছু মানুষকেও দেখা যায়, তার অনুপস্থিতিতে বা পিছনে সমালোচনা করতে। এমন মানুষগুলোই সমাজে বিভিন্ন ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে অশান্তির সৃষ্টি করে, যা একজন ভালো মানুষের পক্ষে কল্পনাও করা যায় না। অনেক সময় দেখা যায়, ভাইরাস রোগের ন্যায় এদের চরিত্রের দোষাবলী অন্যের নিকটও ছড়িয়ে পড়ে। এদের সত্য কথা বলার চেয়ে মিথ্যে সমালোচনার পরিমাণ অনেক বেশি হয়। ফলে এদের কারণে একজনের সঙ্গে অপরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের পাশাপাশি অনেক সময় মারামারি এমন কি হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য অপরাধও সমাজে সংঘটিত হয়। সমাজ তথা দেশে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে নিজে এমন অপকর্ম হতে বিরত থাকার পাশাপাশি এসব মানুষকে আস্কারা দেয়া হতে আমাদের দূরে থাকা প্রয়োজন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুরুষ এবং নারী একে অপরের পরিপূরক
পরবর্তী নিবন্ধনারী জাগরণের অগ্রদূত