পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

নগরের পশ্চিম ষোলশহর নাজিরপাড়া এলাকায় প্রথমে ভরাট করা হয়েছে একটি পুকুর। পুকুরের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পর ভরাটকৃত জায়গায় ১০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি নেয়া হয় সিডিএ থেকে। ভবন নির্মাণে কাজও শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর এ পুকুর ভরাটের দায়ে সাতজনের বিরুদ্ধে গতকাল পাহাড়তলী থানায় গতকাল মামলা দায়ের করে। সংস্থাটির চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (৫৭), আবুল কালাম (৫০), মন্টু কুমার দাশ (৫৭), সুমি রানী দাশ (৪০), নিকাশ দাশ (৬০), কৃষ দাশ (৪৫) ও বিকাশ দাশ (৫৯)।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে একটি আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জারিকৃত নির্মাণ অনুমোদনপত্রে সেখানে একটি ১০ তলা আবাসিক ভবনের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে পুকুর ভরাট করে ভবনটির নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। পুকুর ভরাটের জন্য সরকারের কোনো অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি এবং বহুতল ভবনটির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর হতে অবস্থানগত ছাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বলেন, সাক্ষী এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে বর্ণিত ঘটনাস্থলে একসময় পুকুর ছিল। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই। পুকুরটি সম্পূর্ণরূপে ভরাট করে বহুতল ভবনটির নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুনানির নোটিশ প্রদান করা হয়। গতকাল অনুষ্ঠিত শুনানিতে বিকাশ দাশ ও মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত হন। শুনানি শেষে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ওয়াশিং কারখানাকে জরিমানা : এদিকে তরলবর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বন্ধ রেখে ওয়াশিং কার্যক্রম চালানোর দায়ে আগ্রাবাদ পানওয়ালাপাড়ার সান ওয়াশিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে গতকাল ৫৭ হাজার ৭৩৮ টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কে ২০টি দোকানের বর্ধিত অংশ অপসারণ
পরবর্তী নিবন্ধমির্জাপুরে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারীর সভা