পাহাড়ে বিপন্ন নীল শীস দামা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২১ at ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সবুজ পাহাড় এখন প্রায় বিবর্ণ। জুম চাষের জন্য বেশিরভাগ পাহাড়ে দেয়া হচ্ছে আগুন। পাতা ঝরার এই সময়েও পাহাড়ে বেশ চোখে পড়ে পাখি। তবে তা অতীতের তুলনায় অনেক কম। পাহাড়ে পাখি ও বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো গভীর দুর্গম পাহাড়ে বেশ কিছু পাখি টিকে রয়েছে। তবে তাদের অস্তিৃত্ব আজ সংকটাপন্ন। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চোখে পড়ে বিপন্ন পাখি নীল শীস দামা। সবুজ গাছের উঁচু ডালে হঠাৎ চোখে পড়ে পাখিটিকে। শীস দামা দ্রুত এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াই। তাই এদের ছবি তোলা বেশ কষ্টসাধ্য। মানুষের আওয়াজ শুনলে এরা উড়ে বেড়ায়। তবে অনেক চেষ্টা করেও পাখিটিকে ফ্রেমবন্দি করতে বেশ সময় লাগে। নীল শীস দামার শরীরজুড়ে কালচে নীল দেহ। ঘন নীলে ডাকা পুরো শরীর। এরা আকারে কাকের মতো। লম্বায় ৩৩ সে.মি। সারা দেশে উজ্জ্বল রূপালী নীল তিলা। চঞ্চু হলুদ। চোখে কালচে বাদামি। পা কালো। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ তিলাহীন এবং কালচে চঞ্চু। নীল শীস দামার ইংরেজি নাম Bule Whistling Thrush, বৈজ্ঞানিক নাম Myophonus caeruleus। খাগড়াছড়ির গভীর অরণ্য নীল শীস দামার ছবি তুলেছে শৌখিন আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা। তিনি জানান, পাহাড়ি এলাকায় ৪ ধরনের দামা দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে নীল শীস দামা, কমলা দামা, আঁশটে দামা ও কালাপাশ দামা। এদের এর আঁশটে ও কালাপাশ দামা খুব কম দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাখিদের আবাসস্থল দিন দিন কমছে। অনেক পাখির জীবন বিপন্ন হয়ে উঠছে। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব পাখিদের আবাসস্থল রক্ষা করা। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনে মাঝে মাঝে এদের দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এদের দেখা যায়। প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ক (আইইউসিএন) এর তালিকায় নীল শীস দামা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত প্রাণীর তালিকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিআইটিআইডি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বাস প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘ইউনিভার্সাল শেক্সপিয়ার’ শীর্ষক লেকচার