পারকিতে ‘তরমুজের হাসি’

আনোয়ারা প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় চলতি রবি মৌসুমে ২২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৮ হেক্টর বেশি। পারকি সৈকতের ফুলতলী ও শঙ্খ নদীর মোহনায় তরমুজের ভাল ফলনে দারুণ খুশি কৃষকরা। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ইতিমধ্যে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। লাভ ভালো হওয়ায় চাষিদের মধ্যে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৩ জাতের তরমুজের চাষ হয়। তার মধ্যে বর্ষাকালে ব্ল্যাব বেবি এবং শীতকালীন এ মৌসুমে হাইব্রিড ও বারিজাতের তরমুজের চাষ হয়েছে। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পারকি সৈকতের ফুলতলী এলাকায় বারিজাতের তরমুজ, শঙ্খ নদীর মোহনায় হাইব্রিড ও বারিজাতের তরমুজের চাষ করেছে কৃষকরা। তাছাড়া উপজেলার বরুমচড়া, বারখাইন, হাইলধর, চাতরী ও পনৈকোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তরমুজের চাষ হয়েছে।

ফুলতলী এলাকার তরমুজ চাষি এয়ার মোহাম্মদ (৪৭) বলেন, এ বছর এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। তাতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভাল হয়েছে। সপ্তাহ খানেক পর তরমুজ বিক্রি করতে পারব। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আশা করছি এ বছর তিন লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব।

তবে অপর চাষি নুরুল আলম (৫৫) বলেন, চলতি বছর ৮০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করি। গাছের চারা ফলন ধরার সাথে সাথে বৃষ্টির কারণে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হই। এতে আমার ক্ষেত নষ্ট হয়।

রায়পুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, রায়পুরের শঙ্খ নদীর মোহনা ও পারকির চরের তরমুজ মিষ্টি ও বেশ সুস্বাদু হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চলতি বছরও স্থানীয়রা তরমুজের চাষ করেছে। এতে ফলনও ভাল হয়েছে। তবে চাষিরা সেচ ব্যাবস্থা ও বীজসহ সরকারি সহযোগিতা ফেলে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়বে।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়াতে উপজেলা কৃষি অফিস তরমুজ চাষিদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা ক্ষেতে সেচ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত। কিছু কিছু ক্ষেতে তরমুজ পাকা শুরু করেছে। তবে অসময়ে বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু গাছ ফুল ও ফলসহ মারা গেছে। অধিকাংশ গাছে ফুল ও ফলে ভরে গেছে।

চাষিরা জানান, পানি ও বীজ সমস্যার সমাধানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ফেলে এ এলাকার উৎপাদিত তরমুজ দেশের চাহিদা মিটাতে যেমন বড় ভূমিকা রাখবে তেমনি কৃষকরাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোষীদের শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬