‘পাঁচ বছরে আদর্শ শহরের মডেল হবে চট্টগ্রাম’

চসিক মেয়র রেজাউল করিম

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৩:৪৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, “পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড়াবে।” তিনি কারও পরামর্শ নিতে সংকীর্ণতা নেই বলেও উল্লেখ করেন এ সময়।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে চসিকের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বাংলানিউজ
মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমার কথা ইশতেহারে বলে দিয়েছি। অনেকে মনে করে, চট্টগ্রাম শুধু মেয়রের। আমি সেই পুরনো ধারণা ভেঙে দিতে চাই। এ চট্টগ্রামে অনেক জ্ঞানী, সাংবাদিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ আছেন। তাদের মেধা আমি কাজে লাগাতে চাই। রাস্তার যানজট থেকে বিভিন্ন সমস্যা মেয়রের ওপর এসে পড়ে। এ শহর আমার আপনার সবার। তাই সবার সঙ্গে পরামর্শ করতে চাই, মেধা কাজে লাগাতে চাই। চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে চাই। কারণ ব্যক্তির চিন্তা চেতনায় ভুল থাকতে পারে। সামষ্টিক চিন্তায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সফলতা এলে সবার।”
তিনি বলেন, “আমি শুধু মুখপাত্র, প্রতিনিধি। ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে গেছি৷ পাঁচ বছরও সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এগিয়ে যাব। আমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার সবার সহযোগিতা চাই। আমার পরিষ্কার কথা হচ্ছে, যে সেবা সংস্থা গাফিলতি করবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। অনেক সমম্বয় সভা হয়েছে, কিন্তু কার্যকর সেবা পায়নি। মেয়রের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত। জনভোগান্তি যেমন কমবে টাকারও অপচয় হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে চট্টগ্রামের উন্নয়নভার নিয়েছেন। টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। আমি জননেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জনগণ জননেত্রীর উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছেন বলে নৌকাকে জয়ী করেছেন। চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। সফলতা আমাদের আসবে। চট্টগ্রাম আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড়াবে।”
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “প্রথমে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলায় আনব। মানুষ শান্তি চায়। ১০০ দিনে সব রাস্তা হয়ে যাবে তা আবেগের কথা। যান চলাচলের উপযুক্ত করার চেষ্টা করব। যেকোনো মূল্যে খাল উদ্ধার করব। পাঁচ বছরে শহর জলাবদ্ধতামুক্ত হবে। আসুন চট্টগ্রামকে গড়ে তুলি।”
সুধী সমাবেশ শেষে মেয়র টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে যান। সেখানে খতমে বোখারি ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর বেলা আড়াইটার দিকে চসিকের প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে মেয়রের দায়িত্বভার বুঝে নেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাপ্তরিক কাজ সারেন। এক পর্যায়ে চসিকের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন।
এ সময় তিনি সততার সঙ্গে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবেন না বলে হুঁশিয়ার করে দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাসানচরের পথে আরো ২ হাজার রোহিঙ্গা
পরবর্তী নিবন্ধভূজপুরে পূর্ব শত্রুতায় বসতঘরে আগুন!