‘পর্যবেক্ষকদের কাছে ২০১৮-এর নির্বাচন অবাধ বিবেচিত হয়নি’

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন

| মঙ্গলবার , ২১ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের ২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে মানবাধিকারের বিচারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয় ওই প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে সংসদীয় গণতন্ত্রের সরকার গঠন হয়, যেখানে বেশিরভাগ ক্ষমতা ন্যস্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কাছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ব্যালটে নিয়ম বহির্ভূত সিলমারা এবং বিরোধী এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অনিয়ম এমন সব অভিযোগের কারণে ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাছে অবাধ ও স্বচ্ছ হিসাবে বিবেচিত হয়নি।’

২০২২ সালে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের বাধা, সভাসমাবেশে বলপ্রয়োগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানকে বাধা প্রভৃতি অন্যান্য সময়ের মতো অব্যাহত ছিল বলে উল্লেখ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছিল, এমন পর্যবেক্ষণ যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে নয়।

এদিকে এই প্রতিবেদন নিয়ে এক বিবৃতিতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘ব্যক্তির অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন একটি অধিকতর নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী বিশ্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

(মানুষের) মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করার মধ্য দিয়ে দেশ হিসেবে আমাদের পরিচিতির মূল দিকটি ফুটে উঠে। যুক্তরাষ্ট্র সম্মান, শ্রদ্ধা ও অংশীদারিত্বের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিয়মিতভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরছে। আমরা এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখব।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহায়তা প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধমাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ