ঈদের ছুটির পর সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে খাগড়াছড়িতে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বেড়েছে। গতকাল অন্তত চার হাজার পর্যটক খাগড়াছড়ি ভ্রমণ করছে। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝর্ণা সবখানেই পর্যটকদের ভিড়। এছাড়া যাতায়াতের সুবিধা বাড়ায় খাগড়াছড়ি হয়ে অনেকেই সাজেক যাচ্ছেন। আয় বাড়ছে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলুটিলায় বেশকিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দন পার্ক নির্মিত হয়েছে। এতে পর্যটকদের আর্কষণও বেড়েছে। ঈদের পরদিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার পর্যটক আমাদের এখানে ভ্রমণ করেছে। শুক্রবার ভ্রমণ করেছে প্রায় ৪ হাজার পর্যটক। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কের তত্ত্ববধায়ক মো. সাইফুল জানান, পার্কে প্রতিদিন ১ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে পার্কের মূল আর্কষণ ঝুলন্ত ব্রিজ সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া রাতের বেলায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটক রিফাত হোসেন, অনাবিল রায়হান জানান, ঈদের বন্ধে বন্ধুরা মিলে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে এসেছি। এখানে আমরা আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝর্ণা, মায়াবিনী লেক ও জেলা পরিষদ পার্ক ভ্রমণ করেছি। খাগড়াছড়ির প্রকৃতি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে পাহাড়ে মেঘ ও ঝর্ণা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি।
খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ঈদের ছুটির শুরুতে পর্যটক সমাগম কম ছিল। তবে বর্তমানে হোটেল রির্সোটে অতিথি বেড়েছে। জেলার ৩৫টি বেসরকারি হোটেল রির্সোটে পর্যটক উপস্থিতি বাড়ায় ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, জেলার পর্যটকের নিরাপত্তায় প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশের টহল টিম রয়েছে। আলুটিলা, জেলা পরিষদ ও রিতিম ঝর্ণায় সার্বক্ষণিক পুলিশের টিম নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।