কক্সবাজারের চকরিয়ায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি আরহান মাহমুদ রুবেল নামে এক ছাত্রলীগ নেতার সাথে কেক কাটার ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আরহান মাহমুদ রুবেল হলেন তারেকুল ইসলাম রাহিত নামের অপর এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি
পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে প্রত্যাহার করে কক্সবাজার জেলা পুলিশে সংযুক্ত করার আদেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
গত ২ মার্চ চকরিয়া থানার ওসির কক্ষে জন্মদিন পালনের একাধিক ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন পরোয়ানাভুক্ত আসামি আরহান মাহমুদ রুবেল। ছবিতে বেশ কয়েকজনের সাথে আরেক পরোয়ানাভুক্ত আসামি আলিফকেও দেখা যায়। অন্য ছবিতে দেখা যায়, ওসি নিজেও রুবেলকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন। রুবেলের সঙ্গে থাকা ১৪ জন যুবকও ওসির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
প্রত্যাহার হওয়ার তথ্য গতকাল দুপুরে নিশ্চিত করেছেন ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি নিজেই। তিনি দৈনিক
আজাদীকে বলেন, ‘গত ২ মার্চ আমার জন্মদিন ছিল। সেইদিন সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বেশকিছু ছেলেপুলে কেক নিয়ে আমার অফিসে হাজির হয়। এ সময় বারণ করার পরেও তারা ছিল একেবারেই নাছোড়বান্দা।’
তিনি বলেন, সেই ছেলেদের মধ্যে আরহান মাহমুদ রুবেল ও আলিফের নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম হত্যাচেষ্টা মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। যা আমি একেবারেই অবগত ছিলাম না। কারণ আমি যোগদান করেছি কয়েকমাস হয়েছে। তাই কার বিরুদ্ধে কী ওয়ারেন্ট ছিল তা জানতাম না। তবে সংঘবদ্ধ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে ওয়ারেন্ট থাকা রুবেলকে পাঠিয়েছে কেক নিয়ে। যা পরে বুঝতে পেরেছি। তাদের সাথে কেক কাটা আমার একেবারেই উচিত হয়নি।’
জানা যায়, ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে জন্মদিন উদযাপনের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন ‘পলাতক’ আসামি আরহান মাহমুদ রুবেল। ছবিতে দেখা যায়, ওসি ওসমান গণি মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন। তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কালো কোট পরিহিত রুবেল। আসামি আলিফসহ অন্যরা ওসির মুখে কেক তুলে দিচ্ছেন। সেসব ছবি ফেসবুকে ওসি ওসমান গণিকেও ট্যাগ করে পোস্ট দেয়া হয়। পোস্টে রুবেল লেখেন, ‘ছোট্ট আয়োজনে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে (ওসি ওসমান)। আজকের এই শুভ জন্মদিনে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল প্রিয় ভাই।’ অন্য আসামি আলিফও তার ফেসবুক আইডি থেকে ওসির জন্মদিনের ছবি পোস্ট করেন।
