পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অতিথি পাখি শিকার বন্ধের আহ্বান

পাখি শিকার বন্ধে প্রচার অভিযান

| শনিবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করতে পাখি প্রেমীদের সাথে নিয়ে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় প্রচার অভিযান অনুষ্ঠিত হয়।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অজি উল্লাহ কাঞ্চন। প্রধান বক্তা ছিলেন সাংবাদিক নাজিবুল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ জাকির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম। বক্তারা বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। অতিথি পাখি শীতকালের সৌন্দর্য, যার উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে আসে নতুন রূপ। পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, ধরে রাখে। অতিথি পাখিরা যেন মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসে সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সে সকল জায়গাগুলাতে প্রশাসনের নজরদারি কামনা করেন বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, পাখি বিশেষজ্ঞদের মতেএকদশক আগেও এদেশে প্রায় ২১৫ প্রজাতির অতিথি পাখি আসত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত অতিথি পাখি আগমণের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর কারণ গাছপালা কেটে বন উজাড় করা, জলাশয় ভরাট করে ঘর বাড়ি তৈরি করা, জলবায়ু পরিবর্তন, গাড়ির উচ্চ হর্ন, আতশবাজি, মাইকিং, কনসার্টের শব্দ, কনস্ট্রাকশন সাইটের শব্দ, প্রশাসনের ভূমিকা পালনে অবহেলা ইত্যাদি। বক্তারা এই সমস্ত বিষয়গুলোতে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বক্তারা বলেন, ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি একবছর জেল ও একলাখ টাকা অর্থদণ্ড। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুইবছর জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বাস্তবে এই আইন প্রয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবদুল লতিফ উকিলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পরবর্তী নিবন্ধচৌধুরী জহুরুল হক স্মরণসন্ধ্যা আজ