পরিবহন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে

মো. মুসা

| শুক্রবার , ৫ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মো. মুসা বলেন, করোনার আঘাতে এক বছর আট মাস লকডাউন ছিল। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পরিবহন সেক্টর। লকডাউন পরবর্তী সময়েও গাড়ি চলেছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত পরিবহন সেক্টর আগের অবস্থানে ফিরতে পারে নাই। এর মধ্যে যন্ত্রাংশের আমদানি সহজলভ্য নয়। টায়ার টিউবের দাম দেড় গুণ বেড়েছে। বিআরটিএতে ট্যাঙের টাকাও বেড়েছে। কিন্তু এ ব্যবসার কোনো উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হলো কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই। ১৫ টাকা বাড়ানো মানে শতকরা ২৩% বাড়ানো। করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবহন চালানোয় খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, গাড়ি চালাতে হলে মালিককে পকেট থেকে পুঁজি দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। গাড়ি থেকে আয় দিয়ে পোষাবে না। পরিবহন মালিকরা ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তাকে অযৌক্তিক বলা যাবে না কিছুতেই। মালিকরা যদি গাড়ি বন্ধ রাখেন তবে চট্টগ্রামে ১ লক্ষ পরিবহন শ্রমিকের কী হবে? তাদের প্রতিটি পরিবারে পাঁচজন করে সদস্য থাকলে পাঁচ লক্ষ মানুষের অবস্থা কী হবে সে ভাবনা কারও নেই। আমরা তাই তেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহারের দাবি জানাই। কারণ গাড়ি যদি চলে তবে বেশি ভাড়ায় চালাতে হবে। যাত্রী বেশি ভাড়া দেবে না। স্থানে স্থানে যাত্রীদের সাথে চালক হেলপারের ঝগড়া হবে, হাতাহাতি হবে। এর দায় কে নেবে?

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে
পরবর্তী নিবন্ধমূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি