তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্য পরিবহন, যাতায়াত খাতে ব্যয় বৃদ্ধি থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্য ও সেবার দাম ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়ে জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান অজুহাতে নির্বাহী আদেশে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে। তেলের দাম নিত্যপণ্যের বাজারে নতুন করে আগুন ছড়াবে। ব্যবসায়ী ও মজুদদাররা নানা অজুহাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিনা নোটিশে সারা দেশে গণপরিবহন ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। সরকার ১ নভেম্বর থেকে ভারতে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিলেও আনন্দবাজার পত্রিকা ৪ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে জানায়- কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলে লিটার প্রতি ৫ রুপি ও ডিজেলে ১০ রুপি হারে উৎপাদন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করি, সরকার ভারতের দৃষ্টান্তটি বিবেচনায় আনবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তেল চুরি, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ না করে এবং জ্বালানি তেলের উপর শুল্ক না কমিয়ে সাধারণ জনগণের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।