পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু এ মাসেই : মন্ত্রী

| শনিবার , ১৬ জুলাই, ২০২২ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ এ মাসেই শুরু হবে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হতে পারে। আগামীকাল (আজ) সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের এ বিষয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে, কবে থেকে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। কাজ আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বাসসের।
রেলপথ মন্ত্রী গতকাল শুক্রবার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনকালে মাওয়া স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে জানিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, মাওয়া থেকে ভাঙা অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং ভাঙা থেকে যশোর সেকশনের কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ এবং সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে খুলনা, যশোর, দর্শনা, বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন লাইন যেটি এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে, ফলে তা মংলা পর্যন্ত চালানো সম্ভব হবে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতুতে রেল সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩০ শে জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা আছে। সময় মত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসানসহ কনসালটেন্সি সুপারভিশন সার্ভিসের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআ.লীগ নেতা শফিকুল আহসান স্মরণে দোয়া মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধআহমদিয়া পাড়া জনকল্যাণ সংস্থার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি