নিয়মিত আসেন না ডোর টু ডোর প্রকল্পের শ্রমিকরা

খাজা রোডের বাসিন্দাদের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২০ at ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

গৃহস্থালী বর্জ্য সংগ্রহে ডোর টু ডোর প্রকল্পের শ্রমিকরা নিয়মিত আসেন না বলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের নিকট অভিযোগ করেছেন খাজা রোড এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল বিকেলে নগরসেবায় ক্যারাভান কর্মসূচির আওতায় খাজা রোড থেকে বলির হাট পর্যন্ত পরিদর্শন করেন প্রশাসক। এসময় ওই এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, পরিচ্ছন্নকর্মীরা তাদের ইচ্ছে মত আসেন। কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা পরিচ্ছন্ন কর্মী আসতে দেখেননি। নালা-নর্দমা থেকেও ময়লা পরিষ্কার না করার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তখন প্রশাসক পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি বাড়ানো হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন। এছাড়া ওই ওলাকায় নিয়োজিত চসিকের পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালন না করলে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। প্রতি বুধবার নগরসেবায় ক্যারাভান কর্মসূচি পালন করেন খোরশেদ আলম সুজন। প্রশাসক সমস্যা চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন প্রতিটি কর্মসূচিতে। গতকাল ছিল নবম কর্মসূচি।
এদিকে গতকালের কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দেখে তা সংস্কারে প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন প্রশাসক। বিভিন্ন স্থানে নালার উপর স্ল্যাব না থাকায় এবং কয়েক জায়গায় ভাঙা স্ল্যাব দেখেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। তখন প্রশাসক বলেন, আপনাদের অভিযোগগুলো শুনলাম এবং জানতে পেরেছি সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। যা এর আগে সমাধানেরও চেষ্টা করা হয়নি। করলে বিভিন্ন জায়গায় এতো জঞ্জাল থাকতো না। তবে সব সমস্যার সমাধান এখনই করবো সে আশার বাণী শুনিয়ে আপনাদের আশাহত করতে চাই না। তবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
তিনি উপস্থিত লোকজনের মুখে মাস্ক না দেখে করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে অবহিত করে তাদের সর্তক করেন। তাদের মাস্ক পরিয়ে দেন এবং সাবান বিতরণ করেন।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের ধীরগতি হচ্ছে দাবি করে স্থানীয়রা এ জন্য তাদের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এসময় প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দিকনির্দেশনা এবং কার্যকর পদক্ষেপের ফলে আমরা অচিরেই এ সমস্যা হতে মুক্ত হতে পারবো। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। আপনারা দীর্ঘদিন ধৈর্য্য ধরেছেন। কিছুদিন পরেই প্রকল্পের সুফল মিলবে।
প্রশাসক বলেন, যে সব এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশনের সুবিধাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ছিল ক্যারাভানের কারণে সেসব এলাকার জনসাধারণ এখন নাগরিক সুবিধা পেতে শুরু করেছে। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে এবং পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ বাসযোগ্য নগরী গড়তে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীঘ্রই মাঠে নামতে চান চট্টগ্রামের ক্রিকেটাররা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬