নির্মাণের তিনদিন পরই ধসে গেল পানি অপসারণের ড্রেন

নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের অভিযোগ ২৮ লাখ টাকার ড্রেনটিতে

মীরসরাই প্রতিনিধি | বুধবার , ৫ জুলাই, ২০২৩ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নির্মাণের তিনদিন পরই প্রায় ৫০ মিটার জুড়ে ধসে গেছে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদর এলাকায় নির্মাণ করা পানি অপসারণের ড্রেনটি। অথচ মাত্র ২৬০ মিটার ড্রেনটি নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ২৮ লাখ টাকা। পর্যাপ্ত বরাদ্দের পরও এখানে নিম্নমানের বালুইট ব্যবহারের পাশাপাশি সিমেন্টের মাত্রা কম এবং কোনো লোহার রড ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদরের পশ্চিম পার্শ্বের লেইনের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে দক্ষিণ পার্শ্বে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি পানি নিষ্কাশন ড্রেনের ভেঙে যাওয়া অংশ সরাতে এসেছে সওজের ঠিকাদারের কিছু কর্মী। তারা জানান, ঈদের বন্ধের আগে কাজ শেষ করে ওরা বাড়ি গেছে। তৃতীয় দিন ধসে গেছে ড্রেনটি। ড্রেনে কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। আবার সিমেন্টের পরিমাণও কম। নিম্ন মানের বালু ও ইট এর বিষয়ে জানতে চাইলে ওরা বলে ঠিকাদার তাহের ব্রাদার্স যেভাবে দিয়েছে সেভাবেই সব করা হয়েছে।

স্থানীয় দোকানি আবুল মনছুর বলেন, এভাবে রডবিহীন নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করার সময়ও আমাদের সন্দেহ হয়েছিল এই ড্রেনটি কতটা টেকসই হয়।

এই বিষয়ে তাহের ব্রাদার্স এর পক্ষে নির্মাণকৃত ড্রেনের প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তদারকি কর্তৃপক্ষ সওজের উক্ত এলাকার দায়িত্বরত প্রকৌশলী রোকন উদ্দৌল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ড্রেনটি ১০ মিটার প্রস্থের, তাই রড দেয়া হয়নি।

আর ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দে সিডিউল অনুযায়ী কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কাজ যাই হয়েছে ঠিক আছে। তবে নির্মাণের পর পাশে ন্যূনতম ৬ ফুটের ব্যারিকেড দিয়ে রাখা প্রয়োজন ছিল একমাস ধরে। কিন্তু ওরা তা না করায় কোনো গাড়ি চাপায় এমনটি হয়েছে হয়তো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্যাতিত নারীর জবানবন্দি নিচ্ছেন পুরুষ ম্যাজিস্ট্রেট
পরবর্তী নিবন্ধতৈলারদ্বীপ সেতুতে অতিরিক্ত টোল নেয়ার অভিযোগ