নির্বাচনী সহিংসতায় কাপ্তাইয়ে উত্তেজনা

১০ দিনের ব্যবধানে দুই প্রার্থী খুন ।। ইউপি সদস্য সজিব হত্যায় মামলা, আটক ৭

কাপ্তাই প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে আগামী নভেম্বর মাসে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ২নং রাইখালী, ৪ নং কাপ্তাই এবং ৫নং ওয়াগ্‌গা ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোট। তবে এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে চরম উত্তেজনা। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং একজন মেম্বার প্রার্থী খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। নুতন করে আর যাতে খুনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এলাকায় যৌথ বাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও নির্বাচনে প্রার্থী এবং ভোটারদের মন থেকে আতঙ্ক কিন্তু দূর হচ্ছে না।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে ৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবার কথা ছিল আগামী ১১ নভেম্বর। গত ১৬ অক্টোবর ৩নং চিৎমরম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নেথোয়াই মারমা দিনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বাড়িতে এসে রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হন। ওই খুনের ঘটনার পর চিৎমরম ইউনিয়নের ভোট পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার ১০ দিন পার না হতেই ২৬ অক্টোবর রাতে ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী এবং রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সজিবুর রহমানও সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। সজিব হত্যার পর পুরো কাপ্তাই উপজেলা জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন এবং যৌথবাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। বিভিন্ন স্থানে বিরাজিত উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসনও।
নির্বাচনী সহিংসতায় খুনের ঘটনা ছাড়াও কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এবং চিৎমরম ইউনয়িনে সামপ্রতিক সময় একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলায় দুই ইউনিয়নেই একাধিক ব্যক্তি মারা যান। কাপ্তাই একটি শান্ত উপজেলা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই শান্ত উপজেলায় কেন হঠাৎ এমন নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটছে? এই নির্মম খুনের ঘটনায় সর্বস্তরে অশান্তি এবং অস্বস্তি বিরাজ করছে।
ইউপি সদস্য সজিব হত্যায় ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৭ : এদিকে ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান হত্যায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২৭ অক্টোবর রাত ১২ টায় থানায় মামলা করেছেন নিহতের বোন দুধ নাহার। কাপ্তাই থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান হত্যায় ৩২ জনের নামে মামলা হবার কথা স্বীকার করেন। এই মামলায় ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত ৭জন আসামিকে আটক করা হয়েছে বলেও ওসি জানান। আটক আসামিরা হলেন মোঃ সালাউদ্দীন (২৯), মোঃ আলাল উদ্দীন (৩৬), আরিফুল ইসলাম বাবু রুবেল (২৮), মোশাররফ হোসেন (৫০), মোঃ মনির হোসেন (৩৫), মোঃ সোহেল (২৭) এবং গোলাম রসুল সবুজ (২৫)। আটকদের গতকাল রাঙামাটি জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে কাপ্তাই থানার ওসি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরু সড়কে ভাঙছে দুপাশ
পরবর্তী নিবন্ধচবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীর অভিভাবককে মারধর নিরাপত্তাকর্মী বরখাস্ত