সরু সড়কে ভাঙছে দুপাশ

বাঁশখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে যান চলাচল, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী প্রধান সড়কের দুপাশ ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে যান চলাচল। একমাত্র প্রধান সড়কটি পেকুয়া চকরিয়া হয়ে কক্সবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত হলেও এর সম্প্রসারণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একসময় বাঁশখালীর অভ্যন্তরীণ ছোট গাড়িগুলো এ সড়কে চলাচল করলেও বর্তমানে চলছে এস আলম, হানিফ, সানলাইনের মত বড় গাড়িগুলো। সরু সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নিতে গিয়ে প্রধান সড়কের দুপাশে ভেঙে পড়ছে। ফলে যান চলাচল দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেবল চলতি বছরে অর্ধশত দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সড়কের আঁকাবাঁকা বিদ্যুতের খুঁটি, অসংখ্য বাঁক, চিহ্নবিহীন গতিরোধকের ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশিরভাগ দুর্ঘটনার কারণ অদক্ষ ও অপরিপক্ক চালক। বাঁশখালী সড়কে গাড়ি চলাচলকারী অধিকাংশ চালকের বয়স অনেক কম। তার উপর সড়কে যেসব মোটরসাইকেল চলে সেসবের বেশিরভাগ চালকেরই লাইসেন্স নেই। তারা প্রশাসনের নিরবতার সুযোগে বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে নিজের জীবন এবং অন্যের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। অন্যদিকে বাঁশখালীতে সুনির্দিষ্ট কোনো বাস স্টেশন না থাকলেও বিভিন্ন কোম্পানির বড় বড় গাড়িগুলো সড়ক দখল করে যাত্রী উঠানামা করে যানজট সৃষ্টি করে। সিএনজি টেঙিসহ সারা বাঁশখালীতে লাইসেন্স বিহীন মিনি ট্রাক ও ড্যাম্পার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। এসবের অদক্ষ চালকদের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। অপরদিকে বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কে ৮/১০টি বাজার বসে। যাতে প্রতিনিয়ত সীমাহীন যানজট এবং দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এদিকে বাঁশখালীর প্রধান সড়কে সম্প্রসারণ কাজ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেন। একদিকে কাজ শেষ হতে না হতে অপরদিকে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে আর রাস্তার দুপাশে পর্যাপ্ত মাটি না দেওয়ায় দুপাশ ভেঙে পড়ছে।
প্রধান সড়কের দুপাশের ভাঙন ও সম্প্রসারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী প্রকেীশলী সুমন কুমার সিংহ বলেন, বৃষ্টির কারণে প্রধান সড়কের কিছু কিছু স্থানে যে ভাঙন ও গর্ত হয়েছে তা বৃষ্টি বন্ধ হলে সংস্কার করা হবে। তবে এ মুহূর্তে বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সম্প্রসারণ করার কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, প্রধান সড়কের যানজট নিরসন ও অদক্ষ লাইসেন্সবিহীন চালকদের ব্যাপারে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়া গাড়ি চালাবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও প্রধান সড়ক সম্প্রসারণের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এনবিআর চেয়ারম্যান
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনী সহিংসতায় কাপ্তাইয়ে উত্তেজনা