নির্দেশনা থাকলেও নেই বাস্তবায়ন

নো মাস্ক, নো সার্ভিস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টিকাদানের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও বাকি সবকিছুই চলছে স্বাভাবিকভাবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কোথাও দেখা যাচ্ছে না। নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিরভাগের মুখে মাস্ক নেই। বাস্তবায়িত হচ্ছে না ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নির্দেশনা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ধরন ওমিক্রনের মৃত্যুহার কম। তবে দেশে অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এরমধ্যে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সে ডেল্টা ধরনও পাওয়া যাচ্ছে। তাই কে ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, কে ডেল্টায় আক্রান্ত সেটি বলা কঠিন। এছাড়া শীত এখনো শেষ হয়নি। শীতের সময় এমনিতেই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস প্রকোপ বেড়ে যায়। করোনার শুরু থেকে জনগণকে বারবার সচেতন করার পরও তাদের মধ্যে ন্যূনতম সচেতনতাবোধ আসছে না। অধিকাংশ মানুষ থুতনির নিচে মাস্ক নামিয়ে রাখে। বেশিরভাগ মানুষ সঠিক নিয়মে মাস্ক পড়ছেন না। এতে কিন্তু সংক্রমিত হওয়া এবং অপরজনকে সংক্রমিত করার একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
গতকাল নগরীর টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকমুণ্ডি লেইন এবং নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের স্বাভাবিক বিচরণ দেখে বুঝার উপায় নেই, দেশে করোনা মহামারি চলছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা দেখা যায়। এ সময় অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
মাস্ক কেন নেই জানতে চাইলে জহুর হকার্স মার্কেটে আসা এক ক্রেতা বলেন, বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে অস্বস্তি লাগে। তাই মাঝে মাঝে নামিয়ে রাখি। আর করোনা এখন আগের চেয়ে কমে গেছে। অপর এক ক্রেতা বলেন, মাস্ক ভুলে বাসায় রেখে এসেছি। তবে আমি নিয়মিত মাস্ক পড়ি।
রিয়াজুদ্দিন বাজারের মোজাম্মেল হক জানান, মাস্ক ছাড়া সার্ভিস না দেয়ার নির্দেশনা আছে। তারপরেও অনেক ক্রেতা চলে আসেন। তাদেরকে আমরা মাস্ক পড়ার জন্য অনুরোধ করি। তবে আমাদের দোকানের প্রত্যেক কর্মচারী মাস্ক পড়ে।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার দোকনের কর্মচারীদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছি, কোনো ক্রেতা যদি মাস্ক না পড়ে আসে, তাহলে তার কাছে যেন পণ্য বিক্রি না করা হয়। এখন পর্যন্ত আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করছি। আগে জীবন তারপরে কিন্তু জীবিকা। তবে এ ব্যাপারে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে নিপুণ, শুনানি আজ
পরবর্তী নিবন্ধনয় বছর পর ধরা পড়ল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি