নারী-শিশু ও রোগীদের অবর্ণনীয় কষ্ট

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ২৪ আগস্ট, ২০২২ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ বসতি উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরের বাসিন্দারা। অবরোধের ফলে বাঁশবাড়িয়া থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট হয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স, বাস-মিনিবাস, কার, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরিসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়ে অসুস্থ রোগী ও শহরমুখী নারী-শিশু যাত্রীরা। অনেক নারী ও শিশু তপ্ত রোদে গাড়ির ভেতরেই বসে ঘামছিল। এদিকে তীব্র যানজটে গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে অনেকে গন্তব্যের পথে হাঁটা শুরু করেন। যানজটে আটকা পড়া কয়েকজন যাত্রী বলেন, দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা এক স্থানে ঘণ্টা যানজটে আটকে আছি। একটি গাড়িও নড়ছে না। ঢাকা থেকে ইউনিক পরিবহনে সীতাকুণ্ডের টোব্যাকো গেট এলাকায় এসে যানজটে আটকা যাত্রী আবদুল মান্নান বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যানজটে আটকা পড়ার পর ঘণ্টাখানেক বাসে বসেছিলাম। অসহনীয় গরম। পরে বের হয়ে রাস্তায় আরো আধ গাছের ছায়ায় বসি। যানজট না ছাড়ায় হেঁটেই চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
চাঁদপুর থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ রফিক বলেন, দুই শিশুসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে নিয়ে বাসে বসে আছি। সঙ্গে তিনটি লাগেজ আছে। লাগেজ ও শিশুদের নিয়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছিল। কিন্তু আশপাশে কোনো দোকান নেই। অসুস্থ রোগী নিয়ে অন্তত ৭টি অ্যাম্বুলেন্স যানজটে আটকা পড়ে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে গরমে ছটফট করছিলেন রোগীরা।
ফৌজদারহাট ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আজম উদ্দিন বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অবরোধকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু করে। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকা যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় পাঁচ বাস চালককে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধজ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণমিছিল ও সমাবেশ