নাফ নদী থেকে ৫ লাখ ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার

ইয়াবা পাচারকারীর সাথে বিজিবির গোলাগুলি

টেকনাফ প্রতিনিধি | রবিবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:২১ অপরাহ্ণ

টেকনাফে নাফ নদী থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরা।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, “রবিবার গভীর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ ওমরখাল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে নাফ নদী পার হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এমন সংবাদে দমদমিয়া বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে কেওড়া বাগান ও নাফ নদীতে গোপনে কৌশলগত অবস্থান নেয়। নাইট ভিশন ডিভাইস দ্বারা টহলদল ৩-৪ জন মাদকব্যবসায়ীকে মিয়ানমারের লালদ্বীপ হতে নৌকাযোগে বিআরএম-৯ হতে ৫০০ গজ উত্তর দিক দিয়ে শুন্যলাইন থেকে ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখে। টহলদল তাদেরকে দেখামাত্র স্পীড বোট ও দেশী বোট দিয়ে তাদেরকে চারদিকে ঘেরাও করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। তাৎক্ষণিক টহলদল কৌশলগতভাবে সরকারি সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।”
তিনি আরো বলেন, “বিজিবি টহলদলের সমন্বিত গুলিবর্ষণে ইয়াবা কারবারীরা তাদের নৌকা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লে ভাঁটার টানে পানিতে ডুবে যায়। গোলাগুলির থামার পর টহলদলের সদস্যরা চোরাকারবারীদের ব্যবহৃত নৌকা হতে ৫ টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তাগুলোর ভিতর হতে ৫ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। নৌকা হতে একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ এবং ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।”
সরকারি কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন আ.লীগ প্রার্থী জোবায়ের
পরবর্তী নিবন্ধসাড়ে আট মাসে সর্বনিম্ন শনাক্ত