নতুন শিক্ষাক্রমের ভুল ও অস্বস্তি জানাতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

| রবিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক অংশ হিসেবে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো বিষয় নিয়ে কারো ‘অস্বস্তি’ থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এসব ভুলের বিষয়ে অবহিত করা হলে আগামী বছর সেগুলো সংশোধন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করব। এ বছরের বইগুলো কিন্তু পরীক্ষামূলক সংস্করণ। নতুন পাঠ্যক্রমের বইয়ে কিছু ভুল থাকার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর আসার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বললেন। চলতি বছর এ শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে দেশের সব প্রাথমিক স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় বদলে দিতে প্রস্তুত করা নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২৫ সালে সম্পূর্ণ নতুন পাঠক্রমে পড়বে শিক্ষার্থীরা। খবর বিডিনিউজের।

দীপু মনি গতকাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা উপহার বিতরণ ও ‘একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্রসমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা একটা সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ এখন আমাদের সামনে ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যেটি আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, সেখানে ১৭টি যে গোল বা লক্ষ্য রয়েছে, তার ৪ নং লক্ষ্য শিক্ষা হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রে। সেই শিক্ষার যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, সেই শিক্ষা যদি আমরা জীবনব্যাপী শিক্ষা করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি সাম্যের শিক্ষা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা হয় তাহলে বাকি যে ১৬টি গোল বা লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

এ সময় স্মার্ট নাগরিকের ধারণা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার ক্লাবভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি, পাঠাগারগুলোকে উন্নত করতে চাই।

কারণ তারা যত বেশি অন্য বই পড়বে তত বেশি তাদের চিন্তাজগৎ প্রসারিত হবে। তার সাথে দাবার ক্লাব, বিতর্কের ক্লাব, উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্লাব, ব্রতচারী তৈরি করার ক্লাব, স্কাউট অবশ্যই সব প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী স্মার্ট শিক্ষার্থী হবে। এবং সেই স্মার্ট মানুষ তৈরি হওয়ার মাধ্যমেই কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকটু অসতর্কতার জন্য সব শেষ
পরবর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিষেক বাংলাদেশের মেয়েদের