নতুন বছরের প্রত্যাশা: একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ

রতন কুমার তুরী | সোমবার , ২ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ

কালের ঘূর্ণাবর্তে পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে গেলো আরও একটি বছর। সূচনা হলো নতুন বছরের। বিগত বছরে প্রাপ্তি যাই হোক নতুন বছরের জন্য শুভ কামনা থাকবে সকলের। রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের কারণে বিগত বছরটি ছিলো পৃথিবীব্যাপী বেশ উত্তেজনাময়। এই যুদ্ধ পৃথিবীর অনেক দেশেই জ্বালানি সংকটসহ খাদ্য স্বল্পতার সৃষ্টি করেছে ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্নদেশে জ্বালানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে এর পাশাপাশি রাশিয়া ইউক্রেন থেকে পৃথিবীর কোথাও খাদ্যশস্য রপ্তানি হতে না পারায় দেশে দেশে খাদ্যের দামও বেড়েছে হু হু করে। নতুন বছরে পৃথিবীর মানুষের একমাত্র চাওয়া হচ্ছে রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি দেখা। এ বিষয়ে জাতিসংঘকে অবশ্যই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে নতুন বছরে রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি দেখবে বিশ্ববাসী এমন প্রত্যাশা করাই যায়। রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় শ্রীলংকার মত শতভাগ শিক্ষিত মানুষের দেশ যেখানে বেকায়দায় সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যেহেতু রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কিছুদিন স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেহেতু নতুন বছরে দ্রব্যমূল্যের বাজার দরের বিষয়টি যেকোনোভাবেই সরকারকে লাগাম টানতে হবে। তা না হলে দেশের মধ্যবিত্তসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ বাড়বে। নতুন বছরে দেশবিদেশে চাকরির বাজার সৃষ্টিসহ বেশকিছু কাজ খুব দ্রুতগতিতে সমাপ্ত করতে হবে। বিশেষ করে দেশে বেকার সমস্যা বেশিরভাগ সমাধানের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে কলকারখানা গড়ে তোলার জন্য দেশী বিদেশী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের শ্রমবাজারমুখি করতে হবে। নতুন বছরে পোশাক শিল্পকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণের জন্য সরকারকে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে সামনের দিনগুলোতে। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়তে চাইলে কলকারখানা প্রতিষ্ঠাসহ কৃষিতে যুুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাতে হবে। উর্বর মাটির দেশ বাংলাদেশ। এখানে যেকোনো ফসল সহজে ফলানো যায় ফলে শিক্ষিতরা যদি একাজে এগিয়ে আসে তাহলে এক্ষেত্রে সফলতা আসবেই। প্রয়োজনবোধে এই খাতে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষিত বেকারদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। মোটকথা নতুন বছরে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে সরকারকে যেসমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে তারমধ্যে প্রধান হচ্ছে বেকারত্ব মোকাবেলা। যেকোনো মূল্যে বেকারত্বকে সহনশীল পর্য়ায়ে নামিয়ে আনতে হবে। দেশ উন্নয়নের আরেকটি বড় বাধা হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। নতুন বছরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেনো অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সরকারকে অধিক সতর্ক হতে হবে প্রয়োজনবোধে দেশের স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিক সংলাপের পথ খোলা রাখতে হবে। প্রকৃতপক্ষে বিগত বছরগুলোতে সরকার দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছে, পদ্মাসেতু, টানেল, মেট্রোরেল, নতুন অর্নৈতিক অঞ্চলসহ বেশকিছু উন্নয়ন ছিলো দেখার মতো। বর্তমার সরকারের এসব উন্নয়ন প্রশংসা কুড়িয়েছে বাইরের দেশেও। উল্লেখযোগ্য যোগাযোগ উন্নয়নের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের বিষয়টি বিশ্বে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এসব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলদেশ নতুন করেছে। এসব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলদেশ নতুন বছরে বিশ্বের কাছে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে এমন প্রত্যাশা সকলের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন বছরের প্রত্যাশা
পরবর্তী নিবন্ধশীতে উষ্ণতায় অভিসার