নতুন চ্যালেঞ্জ সামলে টাইগারদের লক্ষ্য জয়

দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডারবান টেস্ট বাজেভাবে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। এবার চ্যালেঞ্জ পোর্ট এলিজাবেথের দ্বিতীয় টেস্ট। এ ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করার লক্ষ্য এখন বাংলাদেশের। আর অন্যদিকে ম্যাচ ড্র করতে পারলেই সিরিজ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। দুই দলের সেই লড়াই শুরু আজ শুক্রবার, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। সমুদ্রপাড়ের শহর পোর্ট এলিজাবেথের তীব্র বাতাস বয়ে যায় ক্রিকেট মাঠেও। আর সফরকারী দলগুলোকে সামলাতে হয় সেই চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্যও বরাদ্দ আছে এমন চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক মোমিনুল হকের দাবি, তার দল দারুণ চনমনে। ভেতরে-বাইরের সব চ্যালেঞ্জ সামলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক। টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক প্রথম টেস্টের কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের খেলায় আমরা চার দিন খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। একটা দিন প্রথম সেশনটা আমরা খুব বাজে খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় এরকম হয়, মাঝে মধ্যেই হয়। আমার কাছে মনে হয় ইতিবাচক অনেক কিছু ছিল। দল হিসেবে শুধু আমরা শেষ ইনিংসটি খুব বাজে ব্যাটিং করে ফেলেছি। এখানে আমার কাছে মনে হয়, সবাই খুব ভালো মেজাজে আছে, সবাই ফুরফুরে আছে, খুব আত্মবিশ্বাসী আছে পরের টেস্ট নিয়ে।
দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে একটা স্বস্তির খবর পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে শেষ মুহূর্তে পেটের পীড়া নিয়ে ছিটকে পড়া অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল এখন পুরোপুরি সুস্থ বলেই জানান অধিনায়ক। সব ঠিকঠাক থাকলে প্রায় একবছর পর টেস্ট খেলবেন দেশের সফলতম ওপেনার। সেক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই জায়গা হারাবেন সাদমান ইসলাম। একাদশে আরেকটি পরির্বতনও নিশ্চিত। চোট নিয়ে দেশে ফিরেছেন ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। তার সঙ্গে ফিরে এসেছেন চোটাক্রান্ত আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় টেস্টে তাসকিনের জায়গায় কোনো পেসার খেলবেন নাকি স্পিনার, সেটি ম্যাচের দিন উইকেট দেখে ঠিক করা হবে বলে জানান মোমিনুল।
একাদশে শেষ পর্যন্ত যারই জায়গা হোক, তিনি ও গোটা বোলিং আক্রমণকে নতুন একটা পরীক্ষায় পড়তে হবে পোর্ট এলিজাবেথে। বাংলাদেশের বোলিং কোচ ও এই মাঠের অনেক লড়াইয়ের যোদ্ধা অ্যালান ডোনাল্ড এখানে আসার পরই বলে দিয়েছেন, এখানকার তীব্র বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে দলকে। বিশেষ করে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে। সেই বাতাস আবার দিক বদলাতে থাকে ক্রমাগত। স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেটিতে অভ্যস্ত, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই হবে বড় পরীক্ষা।
মোমিনুল অবশ্য যথারীতি ইতিবাচকতার সুরে বলেন, একেক জায়গায় একেকরকম পরিস্থিতিতে পড়তেই পারেন। এটা ক্রিকেটে নয় শুধু, সবক্ষেত্রেই হয়। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই খেলতে হবে। একেক সময় একেক কন্ডিশন থাকবে, ইংল্যান্ডে একরকম থাকে, নিউ জিল্যান্ডে একরকম, সাউথ আফ্রিকায় ভিন্ন। আসলে মানিয়ে নিয়ে খেলাটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয়, সবাই মানিয়ে নিয়ে খেলবে। আমরা ওভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি।
এদিকে ম্যাচের আগের দিন উইকেট দেখে একটু শুষ্ক মনে হয়েছে মোমিনুলের কাছে। সেক্ষেত্রে স্পিনারদের ভূমিকা যেমন থাকতে পারে, দক্ষতা থাকলে রিভার্স সুইংও রাখতে পারে বড় ভূমিকা। অধিনায়ক যোগ করেন, বাতসের কারণে এয়ার সুইংও করতে পারে বল। সব মিলিয়ে কঠিন সময়ের বার্তা। তবে মোমিনুলের কথা মাঠে নেমে নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে। তিনি বলেন, অবশ্যই আমি জেতার জন্য খেলব। প্রতি সেশন শতভাগ দিয়ে খেলব। আমরা যদি খুব বেশি অন্য বিষয়ে কান দেই, বাইরে কী হচ্ছে না হবে বা আগের ম্যাচে কি হয়েছে, সেসব চিন্তা না করে ১৫ সেশন, অন্তত ১২-১৩ সেশন যেন নিয়ন্ত্রণ করে খেলতে পারি, সেই চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগোনো উচিত আমাদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যান্ড্রয়েড ফোন না দেয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধচিটাগাং সংবাদপত্র হকার্স সমিতির আবাসন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন