নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগে চাঙ্গাভাব

সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি চান নেতাকর্মীরা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৬ মার্চ, ২০২১ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দীর্ঘ ২১ বছর পর সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি চান নতুন কমিটির পদ প্রত্যাশীরা। ২০০১ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আর কোন সম্মেলন বা কমিটি হয়নি। প্রায় ২১ বছর পর সম্মেলনকে ঘিরে নতুন নেতৃত্বের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নতুন পদ প্রত্যাশীদের রীতিমত ঘুম হারাম। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে শুরু হয়ে গেছে চেষ্টা-তদ্বির।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে প্রায় সকলেরই কথা একটি-সম্মেলন তো হচ্ছে-সাথে সাথে কমিটিও চাই। শুধুমাত্র সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় চলে গেছে হবে না। সম্মেলনের সাথে সাথেই কমিটি চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এই ব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন আজাদীকে জানান, কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে আগামী ১০ এপ্রিল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছি। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হচ্ছে-এই কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশা আকাঙ্ক্ষা বেশি। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ২০০১ সালে সর্বপ্রথম আমাদের হাত ধরেই চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির যাত্রা। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে-ইউনিটে ইউনিটে কমিটি করে তৃণমূল পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সংগঠিত করেছি, শক্তিশালী করেছি। আমরা অনেকবার সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছি। গত জাতীয় সম্মেলনের আগে আমরা সম্মেলন করে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চেয়েছি। কিন্তু নানান কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
মহানগর আওয়ামী লীগের দুই ধারা অনুযায়ী অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পদ-পদবী দীর্ঘদিন ধরে পেয়ে আসলেও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত। এই কারণে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে একাধিক গ্রুপ থেকে একাধিক প্রার্থী দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দেবাশীষ নাথ দেবু। বর্তমানে এই গ্রুপে লালখান বাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল, আরশাদুল আলম বাচ্চ,ু আজিজুর রহমান আজিজের নামও শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে সুজিত দাশ, হেলাল উদ্দিন ও আবদুর রশিদ লোকমান এবং মো. সালাউদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে।
এদিকে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়া উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন নগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকাণ্ডে নিজেদের সক্রিয় রেখেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আজাদ খান অভি। এছাড়াও এই গ্রুপে আছেন অ্যাডভোকেট তসলিম উদ্দিন, শাহেদ আলী রানাও। অপরদিকে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কে বিএম শাহজাহান তার অনুসারী জসীম উদ্দিন ও মনোয়ার জাহান মনিকে শীর্ষ পদে দেখতে চান বলে জানা গেছে। বর্তমানে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১ সদস্যের কমিটির সদস্য নুরুল কবিরও পদ প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
তবে যারাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির জন্য দৌড়-ঝাঁপ করছেন সকলেই দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা বলে জানান শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ ২১ বছর সম্মেলন না হওয়াতে-কমিটি না হওয়াতে পদ প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির বক্তব্যে খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধবন্ধ হয়নি কালো ধোঁয়ার দূষণ