বন্ধ হয়নি কালো ধোঁয়ার দূষণ

সিডিএর অ্যাসফল্ট প্লান্ট

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৬ মার্চ, ২০২১ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরে বন্ধ হয়নি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অ্যাসফল্ট প্লান্টের কালো ধোঁয়ার দূষণ। এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর দৈনিক আজাদীতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নূরুল্লাহ নূরীর দেওয়া সেই আদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে আপিল করে সিডিএ। বর্তমানে আপিল আবেদনটি ঝুলে রয়েছে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে। এই আপিল শুনানি বিলম্বের সুযোগে আবারো কালো ধোঁয়ায় বিষিয়ে ফেলা হচ্ছে আউটার রিং রোড এলাকার আশেপাশের পরিবেশ। সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের অধীনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে সিডিএ।
জানা যায়, ওই প্রকল্পের সড়ক নির্মাণে বিটুমিন তৈরির জন্য রিং রোডের বড়পোল সড়কের সংযোগস্থলে হালিশহর সিটি কর্পোরেশনের গার্বেজ ডাম্পিং স্টেশনের পাশেই অ্যাসফল্ট প্লান্ট বসিয়েছে সিডিএ। বর্তমানে সড়কের বেশিরভাগ কার্পেটিং কাজ শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে প্রকল্পের বর্ধিতাংশের কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন বে-টার্মিনালের বিপরীতে হালিশহর গার্বেজ ডাম্পিং স্টেশনের লাগোয়া স্থানে অ্যাসফল্ট প্লান্টে উপকরণ মেশানোর কাজ চলছে। মেশিন থেকে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। যদিও ওই মেশিনের মুখে চট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চটের নীচ দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হয়ে অনেকটা কালো মেঘের সৃষ্টি করছে।
সিডিএর প্রকৌশলী ও আউটার রিং রোড প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক রাজীব দাশ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘অ্যাসফল্ট প্লান্টটিতে ধোঁয়া কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এখন মনে হয় ধোঁয়া অনেক কমে গেছে। তবে এটি পিডি মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।’
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নূরুল্লাহ নূরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আমরা এর আগে কালো ধোঁয়ার জন্য সিডিএ’র ওই প্রকল্পকে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলাম। তারা মন্ত্রণালয়ে আপিল করেছেন। বিষয়টি শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চতর দপ্তরে আপিল শুনানির জন্য থাকা অবস্থায় পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা দুরূহ।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর স্বেচ্ছাসেবক লীগে চাঙ্গাভাব
পরবর্তী নিবন্ধবিমান বহরে যুক্ত হলো শ্বেতবলাকা