নগরীতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু ৪ জুন

দেয়া হবে ১২৮৮ কেন্দ্রে

| মঙ্গলবার , ২৪ মে, ২০২২ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

রোগমুক্ত ও সুস্থ প্রজন্ম গড়তে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী ১ হাজার ২৮৮ টিকা কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৪ জুন থেকে ৭ জুন চার দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। খবর বাসসের।

এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা গতকাল সোমবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল হায়দার, চসিক জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. ইমাম হোসেন রানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দীপা ত্রিপুরা, মমতার শাহীন সুলতানা প্রমুখ।

চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থদেহ ও মনের অধিকারী করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। গত ২ বছর করোনা অতিমারির কারণে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। এ বছর করোনার প্রকোপ কমে আসায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা যা ভিটামিন এ’র অভাবে হয়। তাই সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবধরণের অপুষ্টি রোধে জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ডা. সেলিম আকতার আরো বলেন, এই অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে দেশে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার কমে আসছে এবং এই কর্মসূচি শতভাগ সফল হলে আরো কমবে। তিনি আমাদের ভবিষৎত প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, নিজেরদের অজ্ঞতার কারণে জন্মের পর শিশুরা অন্ধ হয়ে যায়। এই ব্যাপারে সকল অভিভাবক বিশেষ করে মা ও বাবাকে সচেতন হতে হবে। তিনি পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নগরীর একটি শিশুও যাতে টিকা খাওয়ানো হতে বাদ না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্রোবেল একাডেমিতে কালচারাল ড্রেসআপ কম্পিটিশন
পরবর্তী নিবন্ধউইকন প্রেজেন্টস পাঁচলাইশ আবাসিক কল্যাণ সমিতির ফ্যামিলি নাইট