ধীরে ধীরে জমে উঠছে ঈদ বাজার

পাঞ্জাবি-গাউনে ঝোঁক তরুণ-তরুণীদের

জাহেদুল কবির | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে নগরীর ঈদ বাজার। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকে ক্রেতারা মার্কেট ভিড় করছেন। তবে বিক্রির চাপ বাড়ে ইফতারের পর থেকে।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে কটন, সিল্ক, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড়ে হাতের কাজ, মেশিন এমব্রয়ডারির থ্রি পিস এবং ব্লক প্রিন্টের শাড়ির চাহিদাই বেশি। এছাড়া তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে টিশার্ট, পলো টিশার্ট, ক্যাজুয়্যাল টিশার্ট, ফরমাল টিশার্ট, শার্ট, ফতুয়া ও বাহারি রঙের পাঞ্জাবি। তবে উঠতি তরুণীদের একটি বিরাট অংশ গাউন এবং ফ্রক কেনার দিকে ঝুঁকছেন। অন্যদিকে মধ্যবয়সী নারীদের এক নম্বর পছন্দ রকমারি ডিজাইনের শাড়ি।

নগরীর চকবাজারের মতি টাওয়ার, চক ভিউ সুপার মার্কেট, গুলজার টাওয়ার, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, বালি আর্কেড, স্যানমার ওস্যান সিটি, টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ একাধিক মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে তরুণীরা পছন্দের জামা কাপড় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। এছাড়া পাঞ্জাবির শো রুমগুলোতে তরুণদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

নিউমার্কেটে মুরাদপুর থেকে থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরিফুর রহমান বলেন, রোজার শেষের দিকে ভালো মানের পাঞ্জাবির কালেকশন থাকে না। তাই একটু আগেই পাঞ্জাবি কিনতে এলাম। এবারের পাঞ্জাবির ডিজাইন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি ইউনিক। তবে বিক্রেতারা দামও বেশি হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ইউনেস্কো সিটি সেন্টারে আসা তরুণী সুলতানা রাজিয়া ঊর্মি বলেন, এ বছর ঈদের প্রায় প্রতিটি পোশাকের দাম বাড়তি। একটি গাউন পছন্দ করেছি, কিন্তু বিক্রেতারা আকাশচুম্বি দাম চেয়ে বসে আছে।

অন্যদিকে আফমি প্লাজার অঞ্জন, সৃষ্টি, বাংলার মেলা, দেশি দশ, দেশাল, রঙ, সাদা কালো এবং শৈল্পিকের শোরুম দুপুর থেকে ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর। এসব শো রুমের বিক্রেতারা জানান, ইতোমধ্যে জমতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। বরাবরের মতোই তরুণদের প্রথম পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাঞ্জাবি। সেটি মাথায় রেখে বিভিন্ন কালার ও ডিজাইনের প্রচুর পাঞ্জাবি তোলা হয়েছে।

অপরদিকে নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটের বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুসরত নেই যেন। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছেন। জহুর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন দৈনিক আজদাীকে বলেন, হকার্স মার্কেট মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারাই বেশি আসেন। কম দামে ভালো পণ্য পাওয়া যায় বলে ক্রেতারা আমাদের মার্কেটে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

রেয়াজউদ্দিন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. ছালামত আলী বলেন, ঈদ বাজার ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ইফতারের পরে মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। ইউনেস্কো সিটি সেন্টার শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ মিয়া বলেন, মার্কেটে বেচাবিক্রি গত বছরের তুলনায় এখনো কিছুটা কম। তবে অনেক সময় ক্রেতারা কেনাকাটায় কিছুটা সময় নিয়ে থাকে। আশা করি আগামী কিছু দিনের মধ্যে মার্কেটের বেচাবিক্রি পুরোদমে জমে উঠবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি নেতারা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না, দাবি রিজভীর
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গোয়ালঘর থেকে পাঁচটি গরু লুট