ধর্ষণের মতো ঘৃণিত কাজ আমাদের দেশে অকল্পনীয় হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এটি নিয়ে এ দেশের সচেতন জনগণ বর্তমানে মহাদুশ্চিন্তায় দিন অতিবাহিত করছেন। মনে হয় বছরের এমন একটি সুদিন খোঁজে পাওয়া যাবে না যেদিন আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশে কোনো কুলাঙ্গার কোনো শিশু-কিশোরী-যুবতি বা বৃদ্ধাকে নিয়ে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপকর্মে লিপ্ত হয়নি। বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্রে এতো অল্প বয়সের শিশু বা ঊর্ধ্ব বয়সের বৃদ্ধাকে এমন মহাবিপদের সম্মুখীন হওয়ার খবর আমার মতো অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে এমন নীচু মন মানসিকতাসম্পন্ন কুপুরুষ সংখ্যায় নগণ্য। এই অল্প সংখ্যক মন্দ লোকের কারণেই আজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরুষ জাতিকে নারীগণের সন্দেহের চোখে লজ্জিত বদনে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
আমরা তো প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ধর্মে বিশ্বাসী। এমন নিকৃষ্ট কাজকে উৎসাহিত বা শাস্তিমুক্ত করার ঘোষণা তো কোনো ধর্মেই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাইতো শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে সামান্য সময়ের আনন্দের মহাশাস্তি দু-কালেই বহন করার ইচ্ছেই হলো সৃষ্টিকর্তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব হওয়ার সম্ভাবনা থেকে চিরতরে বঞ্চিত হওয়া। অনেক দূর দুরান্ত হতে ভালোবাসার টানে বুক ভরা বিশ্বাস নিয়ে কোনো নারী ছুটে আসার পরে তাঁকে কথিত প্রেমিক কর্তৃক দলবদ্ধ ভাবে নষ্ট করার খবরও আমরা গণমাধ্যমসমূহের কল্যাণে পেয়ে থাকি। এছাড়া নারীর দুর্বলতার সুযোগে বা গোপনে ভিডিও চিত্র ধারণ করার পরে তা ফাঁস করার ভয় দেখিয়েও এমন অপকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করার ইতিহাসও আমাদের প্রচুর রয়েছে। এমন নোংরা কাজ করার পরে ইদানীং বিভিন্ন ভাবে হত্যা করে লাশ গুমের অপকর্মও করা হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের অভিভাবকগণ যথেষ্ট সচেতন এবং নারীগণ বেপর্দা জীবন পরিহার করে আরো সতর্ক হলে এমন বিপদের পরিমাণ কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। ১০০% যাচাই বাছাই না করে কারো মুখের কথা বিশ্বাস করলে তার পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বন্ধু নির্বাচনেও সংশ্লিষ্টদের যথেষ্ট বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।