মানুষ মাত্রেই সহনশীল কথাটা মনে হয় সঠিক। কতো কিছু ঘটে যায় জীবনে কিছুদিন বেদনায় মর্মাহত থাকলেও আবার শিরদাঁড়া খাড়া হয়ে উঠে দাঁড়ায়। সব ভুলে চলমান জগতের সাথে একাগ্র হয়ে মিশে যায়। এইতো মাত্র বছর খানেক আগে সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারি হয়ে গেলো লক্ষ লক্ষ মানুষের লাশ, দাফনের জায়গা সংকুলান। কতো পরিবার হারালো আপনজন কতো শতো মানুষ হলো দরিদ্র, চাকরিচ্যুত। ধন সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব। কী দুর্বিষহ জীবন কেটেছে। আপনজনের লাশটাও যে দেখতে আসেনি সে কথাও সবাই ভুলে গেছে। রাস্তায় বের হলে দেখি সবকিছু ঠিক আগের নিয়মে চলছে। মানুষ ভুলে গেছে কতো বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। আশে পাশে ঘটে যাওয়া কতো অমানবিক ঘটনা। ভাবতে ভাবতে হাঁটছি হঠাৎ কানে কান্নার শব্দ, মনে হলো মায়ের বুকফাটা কান্না। যে শিশুটি কয়েকদিন আগে দোকানে গিয়ে হারিয়ে গেছে একদিন পর তার লাশ পাশের নালায় পাওয়া গেছে। সেই নরপশুর চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে ওঠলো। কী বীভৎস ভাবে হত্যা করলো। হয়ত এই মায়ের কান্নাও একদিন থেমে যাবে। ভুলে যাবে তারাও যারা চোখের সামনে দেখেছে। একদিন সব আবার নীরব হবে। আবার নতুন কোনো ঘটনায় মর্মাহত হবো। এভাবে চলতেই থাকবে। ঈশ্বর মানুষকে ধৈর্য আর সহনশীল করেই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।