ধরে-বেঁধে কাউকে নির্বাচনে আনব না : সিইসি

| মঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ তারা চাইলেও কাউকে বাধ্য করার সুযোগ তাদের নেই। গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টি-জেপি ও ন্যাপের সঙ্গে সংলাপ শেষে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসির প্রতি বিভিন্ন মহল তাগিদ দিয়ে এলেও সিইসি আগেও একই কথা বলেছিলেন।
তিনি গতকাল বলেন, আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক চাই, ঢিমেতালে নয়। আমরা কাউকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনব না। সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে উদাত্ত আহ্বান থাকবে, আপনারা আসেন, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখেন ও সহায়তা করেন। অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচনের জন্য ইসির আস্থা অর্জনের উপর জোর দিচ্ছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল এই ইসির অধীনে সংলাপেও যায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন বিএনপির যে রাজনৈতিক কৌশল, আমরা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলের উপর হস্তক্ষেপ করব না, করতে পারি না, সে এখতিয়ার আমাদের নেই। এখন বিএনপি যেটা চাচ্ছে, সে ব্যাপারের আমাদের কোনো রকম বাধা নেই। কিন্তু আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্বের পথে আমরা এগিয়ে যাব।
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সিইসি বলে আসছেন, সরকার কেমন হবে, তা বলার এখতিয়ার ইসির নেই। ইভিএম নিয়ে ইসির সংলাপে বিএনপিসহ ১১টি দল বর্জন করার পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উন্মুক্ত আলোচ্যসূচি নিয়ে জুলাই মাসে আবার সংলাপ ডাকে ইসি। বিএনপিসহ সাতটি দল এই সংলাপও বর্জন করে। দুটি দল সংলাপে না এসে মতামত জানিয়ে দেয়। সেসময় সংলাপে অংশ নিতে না পারায় সোমবার ইসির সঙ্গে বসে জাতীয় পার্টি (জেপি) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ বাকি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সব মিলিয়ে তিন শতাধিক প্রস্তাব আসে ইসির কাছে।
হাবিবুল আউয়াল সোমবার বলেন, সংলাপের সুপারিশগুলো শুধু দলকে নয়, সরকারকেও জানানো হয়েছে। কারণ দলগুলো কী বলছে, তা সরকারেরও জানা উচিৎ। সরকার কিন্তু কোনো দলের নয়। সেই বিভাজনটাকে মাথায় রেখে আমরা সরকাকে জানিয়েছি।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে রোডম্যাপ চূড়ান্তভাবে জানানো সম্ভব হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ ও কাল ২টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে হরতাল
পরবর্তী নিবন্ধচবি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় প্রক্টরিয়াল বডিকে তলব