দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ১৪ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

লাভ মোক্ষের, লোভ নৈতিকতা

উইন্ডশিল্ডের বাইরে চোখ যেতেই দেখলাম বেশ দূরে রাস্তার দু পাশে, এমন কি মনে হচ্ছে রাস্তার মধ্যেও রাস্তারই মাথার উপরে জ্বলছে নানান রংয়ের সারি সারি আলো। না এ শুধুই আলো নয়, বলা উচিৎ আলোকসজ্জা। তাহলে ঘটনা কি? কোন বিয়ে টিয়ে হচ্ছে নাকি চায়নিজ কোন টাইকুনের নিজের বা তার ছেলেমেয়ের? রাস্তা জুড়ে আর আশেপাশে না হয় এমন আলোকসজ্জা কেন? আমাদের দেশে ব্যাঙ্ক লোপাট করা তথাকথিত শিল্পপতিরা তাদের পরিবারের কারো বিয়েশাদিতে গোটা এলাকা আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিয়ে যেমন ঢাকতে চায় নিজেদেরই অন্ধকার, তেমনি করছে না কি এখানেও কোন চায়নিজ টাইকুন? পূঁজির ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র যা ই হোক না কেন, সামান্যতম সুযোগে তার চরিত্রের প্রকাশ সব জায়গাতেই এক। আর তা হলো লাভের প্রতি দুর্নিবার লোভ। লাভ তার একমাত্র মোক্ষের নাম, আর লোভই হল তার নৈতিকতা। মানবতা, সততা, ন্যায়পরায়নতা, বা ইদানীংকালের পরিবেশপরায়নতা এ সবই হল আদতে ফাঁকা বুলি। লোভ নামক নৈতিকতার পূঁজির কাছে যাবতীয় শঠতাই একমাত্র কর্মপন্থা। স্থান কাল পাত্র ভেদে শুধু তার ঘটে একটু আধটু রকমফের, পার্থক্য এই যা ।
আচ্ছা আমাদের দেশের মতো এখানেও কি শীতেই বিয়ের ধুম লাগে না কি? আমাদের দেশে না হয় শীতকালে বিয়েশাদীর ধুম লাগার কারণ হিসাবে অনেক আগে থেকেই ধারণা করি, একদিকে যেমন ছিল আবহাওয়াগত কার্যকারণ আর অন্যদিকে ছিল অর্থনৈতিক কার্যকারণ। কারণ হেমন্তে ফসল ওঠার পর পর, একসময়ের আমাদের গ্রামগুলোর হাভাতে কৃষকদের ঘরে ঘরে যেমন জমতো যেমন নবান্নের উৎসব, তেমনি তারপরপরই শীতে লাগতো বিয়ের ধূম। পরবর্তীতে আমাদের সমাজ আর অর্থনীতি ধীরে ধীরে যখন নগরভিত্তিক শিল্পকারখানা কেন্দ্রিক হয়ে উঠছিল, তখন সম্ভবত যোগ হয়েছিল আরও একটি কারণ; তা হলো ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে শহরের স্কুল গুলিতে যেহেতু ছুটি থাকে, সেজন্য কী শহরে কী গ্রামে; সব জায়গাতেই শীতকালই হয়ে উঠেছে বিয়েশাদির জন্য মোক্ষম সময়। খুব ভাল না জানলেও যতোটা জানি তাতে জানি যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিয়েশাদীর দিনক্ষণ ঠিক করে পাঁজি, পুথি, কোষ্ঠী ঘেঁটে, যা নাকি আবার ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে খাটে না। যুক্তির খাতিরে ভাবছি যদি বিয়ের দিন ক্ষণ যদি শুধুই পাঁজি, পুথিনির্ভর হতো, তাহলে তা তো হতে পারত বছরের যে কোন সময়ের শুভ দিন। কিন্তু কোন জনপদের সনাতন ধর্মাবলম্বী হোক আর ইসলাম ধর্মাবলম্বী হোক, উভয়ের ক্ষেত্রেই শীতই যখন হয়ে উঠে উত্তম সময় এই রকম বিশাল আয়োজনের তখন, এসবের ক্ষেত্রের গ্রহ নক্ষত্রের গতিপথের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় অর্থনৈতিক সক্ষমতাই ।
প্রাচীনকালে আমাদের দেশের জ্ঞানীগুণী জ্যোর্তিবিদেরা গ্রহ নক্ষত্র পর্যালোচনা করে তা নিয়ে যাই বলে থাকুন না কেন, যতোটা মনে পড়ছে পুরোহিতেরা কিন্তু সেসবের উপর ভিত্তি করে কার্ত্তিক মাসকেই মানব মানবীর উর্বরতার মাস হিসাবে গণ্য করে বিবাহের উত্তম সময় বলে যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন। এতে এটুকু বোঝা যায় যে পুরোহিতদের গ্রহনক্ষত্র জ্ঞান লবডংকা হলেও বৈষয়িক জ্ঞান ছিল তাদের টনটনা। ফলে তারা প্রত্যেকেই ছিলেন একেকজন এডামস্মিথ না হলেও এক্কেবারে চাণক্য কৌটিল্য। এ নিয়ে যে যাই বলুক আর ভাবুক, আমার কিন্তু কোন সন্দেহ নেই নিজ মনে, এ নিয়ে। আর এ শুধু ভারতবর্ষের পুরোহিতরাই নয়, বুঝতেন ভাল প্রাচীন জেরুজালেমের যেহোবার মন্দিরের পুরোহিতরাও। যার ব্যতিক্রম নয় আজকের ভ্যাটিকানও কিম্বা আমাদের হেলিকপ্টার হুজুররা ও পীরেরা।
এখন কথা হচ্ছে চায়নাও কি অবস্থা তাই নাকি? চায়নায়, বিশেষত এই চরমভাবাপন্ন শীত আর যাই হোক, বিয়ের মতো অতো বিশাল উৎসবযজ্ঞের আয়োজন করা তো কোন পরিবারের জন্য অর্থনৈতিক ভাবে যাই হোক না কেন আবহাওয়াগতভাবে তো যুতসই হওয়ার কথা না। আরেকটা কথা, না একটা না দুইটা কথা। প্রথম কথা হল ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের মতো চীনাদের বিয়েশাদিও কি বিরাট কোন যজ্ঞের ব্যাপার নাকি, বিশেষত যারা সম্পদশালী? আর দ্বিতীয়ত ভারতীয়দের মতো যেহেতু চীনাদেরও প্রবল আস্থা রাশিচক্রের উপর, যা নাকি আবার গ্রহ নক্ষত্রের মেজাজ মর্জির উপর নির্ভরশীল; সেরকম এখানেও কি এরা গ্রহনক্ষত্র বিচার করেই বিয়ের লগ্ন ঠিক করে নাকি?
আরে ঐ তো রাস্তা পার হলো দেখছি বানরটা! রাশিচক্রের কথা মনে হতেই চোখে পড়ল ওটা! সাথে সাথেই পিছু ফিরে, কিছুটা উঁচুগলাতেই অভ্র দীপ্রর দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম ঐদিকে। এতে ছোঁয়াযন্ত্রের খেলায় তাদের বিঘ্ন ঘটায় কিছুটা বিরক্ত ভঙ্গিতে দুজনেই একসাথে সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে, ধীরগতির আমাদের বাসটি থেকে, মিটার পঞ্চাশেক দূরের রাস্তার উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জার কেরামতিতে, আলোর তৈরি চলমান বানরটিকে ফের রাস্তার মাথার উপরে লাফিয়ে লাফিয়ে এগুতে দেখে, শুধু আমাকে খুশি করার ‘ওহ তাইতো’ বলেই ফের বসে নিজ সিটে বসে খেলায় মগ্ন হয়ে পড়লো দীপ্র। বসে পড়ল একই সাথে নিশ্চুপ অভ্রও ।
হ্যাঁ বলছি সেই আলোকসজ্জাটিরই কথা, কিছুক্ষণ আগে বেশ দূর থেকেই নজরে এসেছিল যা। তখনো বাস, এখনকার মতোই জ্যামকচ্ছপ গতিতে চললেও, মাঝের সময়টায় রাস্তা ফাঁকা পাওয়ায় বেশ ঝড়ের গতিতে চলায়, চলে এসেছি আমরা এখন এক্কেবারে আলোকসজ্জাময় রাস্তাটির নাকের ডগায় এক্কেবারে। নানান অর্থেই আলোহীন আমার শৈশবে মাঝেমধ্যেই যখন আলোকসজ্জা হতো স্বাধীনতা দিবস বা অন্য কোন জাতীয় দিবসে, বাসার অদূরের আব্বার অফিসটির ছাদে দেয়ালে, কিম্বা কারো বিয়েশাদি উপলক্ষে নিতান্তই নানান রঙ্গয়ের বাল্ব জ্বালিয়ে আলোকসজ্জা করা হতো রাস্তায়, তাতে আমি ও আমরা যেরকম উত্তেজিত পুলকিত বোধ করতাম, সেই একই বয়সে আজ আমার পুত্ররা কিন্তু, তার চেয়ে ঢের উন্নত চায়নিজ চালিয়াতি আর কেরামতির এই আলোকসজ্জাটি দেখে দেখছি মোটেও পুলকিত হয়নি। অথচ আমার ভেতরেই কি না লাফাচ্ছে বহুকাল আগে পেছনে ফেলে আসা সেই শৈশব, রাস্তার দু’পাশে আর উপর দিয়ে যাওয়া নানা রঙ, আকার, আকৃতির বাতির হরেকরকম ঝলকানি আর চমকানি দেখে। অবশ্য বেশী মজা লাগছে চায়নিজ রাশিচক্র মোতাবেক এই বান্দরবছরের ঐ বানরটিকে বারবার রাস্তার উপর দিয়ে এপাশ ওপাশ করতে দেখে ।
আচ্ছা পুত্ররা আমার কি তাহলে অবাক হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলল না কি? এতো মোটেই ভাল কথা নয়। এতো ছোটবয়সেই যদি বাচ্চারা অবাক হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তাহলে তো তারা কৌতূহলীও হবে না আর ! আর বাচ্চারাই যদি তাদের বড় সম্পদ কৌতূহল হারিয়ে ফেলে, তবে তো একটা বিরাট দুঃসংবাদই বটে! এমুহূর্তে মনে হচ্ছে মানুষের অবাক হওয়া আর কৌতূহলী হওয়ার মধ্যে একটা তুমুল যোগসূত্র আছে। ফলে মনের আকাশে একটা ঘনঘোর মেঘের আনাগোনা হতেই, মনে পড়লো আরে! আমার শৈশবের চেয়ে আমার পুত্রদের শৈশব তো সকল অর্থেই অনেক বেশী আলোকখচিত। আলোর অভাবে আমাদের শৈশব যখন আক্রান্ত ছিল ভূতপেত্নি দৈত্যদানোর ভয় জ্বরে, সে জায়গায় ডিজিটাল টেকনলজির কারণে দৃষ্টি তাদের প্রসারিত মহাশূন্যের নক্ষত্ররাজির আলোকসজ্জার দিকে। অবাক তাঁরা হয় ওসবেই। অতএব সেই যে আছে আমাদের মধ্যে জেনারেশন গ্যাপ, তার কারণে এ নিয়ে তাদের এরকম নিস্পৃহতা অত্যন্ত যৌক্তিক ও স্বাভাবিক। এ সত্য মনে পড়তেই, আশ্বস্ত হয়ে রাস্তার আলোকসজ্জাটি জরীপ করে বোঝার চেষ্টা করলাম ফের যে, এটি আসলেই কোন চায়নিজ বিয়ে শাদী উপলক্ষে করা কি না।
বেশ কিছুক্ষণ জ্যামশম্বুক গতিতে অগ্রসরমান হতে হতে, সামনে যতোটা যায় চোখ ততোদূর পর্যন্ত রাস্তাটি ও আশ পাশের দোকানপাটের আলোর সাজসজ্জা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে মনে মনে কেন জানি সিদ্ধান্তে আসলাম যে, এ কোন বিয়ের আলোকসজ্জা নয়। সাথে সাথেই ভাবনা এলো, তবে কি এটা চায়নিজ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আলোকসজ্জা নাকি? কিন্তু এখন তো হল ডিসেম্বর মাস। সিঙ্গাপুরে দাপ্তরিক প্রয়োজনে বছরখানেক থাকার কারণে, চায়নিজ নতুন বছরে আলোকসজ্জার বন্যা বয়ে যেতে দেখেছি গোটা সিংগাপুর জুড়ে, তবে সেটা তো হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে হ্যাঁ, সিংগাপুরের আর কোন জায়গা না হলেও অন্তত অর্চার্ড রোড এরকম আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয় ডিসেম্বরেও। আর হয় তো তা বিদেশী পর্যটকদের উদ্দেশ্য করে, বড়দিন উপলক্ষে যখন চলে অর্চার্ড রোডের শপিং মলগুলোতে সেল নামের ভোক্তাকে উত্যক্ত উত্তেজিত করে বিক্রিবাট্টা বাড়ানোর মজমা। কিন্তু ঐ যে বলেছিলাম, এ পর্যন্ত যা দেখেছি পর্যটক এখানে, তাতে তো বিদেশী দেখিইনি মোটেও। আবার চায়নাতো খ্রীস্টধর্মপ্রধান দেশও নয়, তাহলে এরকম আলোক সজ্জার মানে কি? যদিও আজকাল “ক্রিসমাস সেল” বৈশ্বিক মর্যাদা পেয়ে গেছে ব্যবসায়িক কারনে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ধর্মবিশ্বাস কিম্বা ধর্মাচারণ এক্কেবারেই পাত্তা পায় না।
এরকম ভাবনার মাঝেই, ঠিক তখনই মনের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিল একটি রাস্তা আর তৎসংলগ্ন এলাকা; আর সেটি হলো ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত তাকসিম স্কয়ার এলাকা। যেখানে গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে সেই দাপ্তরিক প্রয়োজনেই। সেই রাস্তা আর জায়গাটিও ছিল একইরকম আলোকসজ্জিত, ব্যতিক্রম শুধু চায়নিজ বান্দর বছরের আলোয় তৈরি বানরগুলো। আলো ঝলমলে তাক্সিম স্কয়ার সংলগ্ন এলাকাটিতে রাস্তার নানান রঙয়ের আলোর সাথে সাথে ইস্তাম্বুলের নিশাকালীনজীবনও, উদ্দাম হয়ে উঠে নানান রঙ্গে। টুং টাং শব্দে গ্লাসে গ্লাসে নানান রঙয়ের পানিয় ছলকে উঠার সাথে, বারে বারে সংক্ষিপ্ত পোশাকে নাচতে থাকা টপকাপি প্রাসাদের থেকে বের হয়ে আসা অটোম্যান বাদশাদের হারেম সুন্দরীদের দেহের বাঁকে বাঁকে শীৎকার করে উঠে ইস্তাম্বুলের রাত। আর সেই এলাকাটিকে ধরা হয় ইস্তাম্বুলের ডাউন টাউন। যার কারণে সেখানে আলোকসজ্জার জন্য কোন উপলক্ষ লাগে না সম্ভবত! থাকে ওটা আলোকসজ্জিত সংবৎসর, যার নিচেই চলে কিনা অন্ধকারাশ্রিত উল্লাসের মজমা আর টাকার খেলা!
এদিকে এমুহূর্তে ডাউনটাউন শব্দযুগলের লেজ ধরেই মন ফের সচকিত হয়ে উঠলো, কারণ মনে যে পড়লো আমাদের হোটেলটির অবস্থান বেইজিং এর ডাউন টাউনেই । যেহেতু বেশ কিছু আগে হঠাৎ অজানা কারণে বাস থেমে পড়তেই, হোটেলে এসে পড়েছে মনে করে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বেকুব বনে যাওয়াতে, এবার আর তা করলাম না । বরং অন্য সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে গভীর মনোযোগে পাশ জানালা দিয়ে দেখতে লাগলাম, নানা বর্ণের আর স্টাইলের আলোয় আলোকসজ্জিত দোকানগুলো। এরই মধ্যে বেইজিং এর ধোঁয়াশাকে অন্ধকার আরো জাপটে ধরায়, আলোকসজ্জার আলোগুলো উজ্জ্বলতর হয়ে জায়গাটিকে মোহময় করে তুলেছে। নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে এখানকার সবকিছুরই কপালে যেহেতু চায়নিজ সাইনবোর্ড লাগানো, তাই ঐদিকে নজর না দিয়ে দোকানপাটগুলোর সাজসজ্জার আবহ, আরে বাইরে থেকে যতোটা দেখা যায় ওসবের ভেতরটা, তা দেখে আন্দাজ করতে চাচ্ছি, কোনটায় আছে কিসের পসরা।
সবকিছু এরকম মনোযোগ দিয়ে দেখার কারণ একটাই, আর তা হল মন বলছে, চলে এসেছি আমরা হোটেলের কাছেই। খুব শিগগিরই নামতে হবে আমাদের। তবে এমুহূর্তে বাস চলছে জ্যামশম্বুক গতির চেয়ে বেশ অনেক জোরে। তাতে রাস্তার আশেপাশের সবকিছু তেমন ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। যদিও সবকিছুই ভাল করে দেখতে চাইছি না বরং মনে মনে খুঁজছি কোন রেস্টুরেন্ট, বিশেষত ভারতীয় কোন রেস্টুরেন্ট। কারণ নিশ্চিত হোটেলে পৌঁছানোর পরপরই না হলেও, একটু ধাতস্থ হওয়ার পরপরই খেতে চাইবে সবাই রাতের খাবার। দুপুরের লাঞ্চ তো বিমানে দেয়া ব্রাঞ্চের কারণে পড়ে গিয়েছিল সেই যে বলেছিলাম ট্রিঙে, তারপর থেকে তো ছিলাম সকলে প্রাচীন সাধুসন্তদের মতো ফলাহারেরই উপর।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধমঙ্গলে ত্রিমুখী মনুষ্য আক্রমণ
পরবর্তী নিবন্ধএকালের গল্প সেকালের ঘটনা