দেশে ধর্মীয় সমপ্রীতি রক্ষায় ওলামায়ে কেরামরা সোচ্চার

ইসলামী পার্টির জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বক্তারা

| রবিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি নিয়ে দেশের মধ্যে বর্তমানে যে ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেটা নিঃসন্দেহে বিরোধীদলীয় অপশক্তির চক্রান্ত। বাংলাদেশে ধর্মীয় সমপ্রীতি রক্ষার্থে ওলামায়ে কেরামগণ সোচ্চার রয়েছেন। বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির আয়োজনে জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাঈল হোসাইন একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি প্রতিষ্ঠায় নজিরবিহীন ভূমিকা রেখেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং এর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং সকল উপজাতিদের দেশের মধ্যে সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন সেটা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশকে ‘মদীনার সনদ’ অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে, যেটি পৃথিবীর ইতিহাসে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি নিশ্চিতকরণে সর্বোত্তম সংবিধান।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওসমনা গণির সভাপতিত্বে জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মাওলানা মুফতি শেখ শোয়েব, হাফেজ মাওলানা ক্বারী সানাউল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্বারী মাওলানা আব্দুল মান্নান, কাজী মাওলানা এম এম ইউসুফ আলী চৌধুরী, মাওলানা কাজী মুহাম্মদ সারুয়ারে আলম, মাওলানা শেখ রহমত উল্লাহ, হাফেজ মুহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, মাওলাা শফিকুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, হাফেজ দেলোয়ার, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা ইব্রাহিম প্রমুখ। মাওলানা মো. ইসমাঈল হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের মত এত ক্ষুদ্র আয়তনের দেশের জনসংখ্যা যার অধিকাংশই ধর্মীয় অনুভূতিতে সংবেদনশীল, এরকম একটি দেশে গত ১২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বর্তমান সরকার ধর্মীয় সমপ্রীতি বজায় রেখেছেন তা বিশ্বের অন্যান্য যে কোন রাষ্ট্রনায়ক করতে ব্যর্থ হতেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেলাঘর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির বর্ধিত সভা
পরবর্তী নিবন্ধজলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইকো-একটিভিস্টের ওয়েবিনার