দুর্গোৎসব শুরু, আজ মহাসপ্তমী

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ। মহাসপ্তমীতে হবে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা। সকালেই ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করেন ভক্তরা। সপ্তমী পূজা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান ও আরতিসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ডপে সকাল থেকেই চণ্ডিপাঠে মুখরিত হবে নগরী ও জেলার সব পূজামণ্ডপ। ঢাকের বাদ্য আর শঙ্খের ধ্বনিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে প্রতিটি মন্ডপে।
গতকাল সোমবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে উৎসব শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এখন পূজার ধুম। রং-বেরঙের পোশাক পরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমিয়েছে মন্ডপগুলোতে। সন্ধ্যায় ঢাকের তালে আরতির জন্যও রয়েছে প্রাজার্থীদের আলাদা প্রস্তুতি।
জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবীর আগমন ঘটছে ঘোড়ায় চড়ে। আগামী ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দুর্গাদেবী বিদায় নেবেন দোলায় করে। শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে তিনি বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে আসছেন। পুরোহিত শ্রীনাথ ঠাকুর জানান, দেবীর ঘোটকে আগমন মানে সব কিছু ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া। এর মানে দেবী আমাদের এক সতর্কবার্তা দিয়েই আসছেন। সুখ-দুঃখকে পাশাপাশি রেখে আমরা পথ চলব। হিন্দু পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবীদুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি এই পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পুজোকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রী রামচন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজাকে হিন্দু ধর্মমতে অকালবোধনও বলা হয়।
এবার চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হল প্রাঙ্গণসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ ২৭৬টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে বলে জানান মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। এদিকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ১ হাজার ৫৫৩টি ও পারিবারিক ৪১১টি সহ ১ হাজার ৯৬৪টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। চট্টগ্রামে সব পূজামন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও পূজামন্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবড়হাতিয়ায় পুকুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
পরবর্তী নিবন্ধহাতির আক্রমণে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মৃত্যু